রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা ঢাকায় করতে না দেওয়া এবং সারাদেশে গায়েবানা জানাজায় পুলিশি হামলা, আটক এবং গুলি করে একজনকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জামায়াত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর সাড়ে-১১ থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সেখানে বক্তব্যে রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যারা গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার নানাবিধ জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সহস্রাধিক মুসল্লিকে আটক করেছে। শুধুমাত্র শোক প্রকাশের কারণে অনেক আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের বহিস্কার করা হয়েছে।
জাতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশে কি গৌর গোবিন্দের শাসন চলছে যে একজন সাঈদীর জানাজা করা যাবে না? তিনি সময় থাকতে সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শোকাহত জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান। অন্যথায় গণবিরোধী সরকারকে গণরোষে পড়তে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকার দেশে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় দেশবরেণ্য আলেমদের একের পর এক হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। তাই এই ইসলাম বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাছির উদ্দীন, ছাত্রনেতা সালাহউদ্দীন প্রমুখ।
জেইউ/এসএম