আমরা দেশেও বন্ধুহীন নই, বিদেশেও নই : কাদের
নেতাকর্মীদের মন শক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা বন্ধুহীন নই। আমরা দেশেও বন্ধুহীন নই, বিদেশেও নই।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কাদের বলেন, ওটা এটা দেখলে হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়। আমেরিকা এল বুঝি, নিষেধাজ্ঞা দিল বুঝি, ভিসানীতি এল বুঝি, কে কী দিলো? এইসব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাথা ঘামান না। আমরা বন্ধুহীন নই। আমরা বন্ধুহীন দেশেও নই, বিদেশেও নই, আবারো জানিয়ে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, '৭৫ এর পর সবচেয়ে বড় অর্জন কি? জানতে চাইলে উত্তর হবে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন। তিনি আমাদের মুক্তির সংগ্রামের কাণ্ডারি।
তিনি আরও বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের সুদিন এটা কেউ ভাববেন না। এখনো অন্ধকারের শক্তি আমাদের চ্যালেঞ্জ করছে। অন্ধকারের শক্তির সঙ্গে আমাদের লড়তে হবে। অনেকে ভেবেছিল ১০০ বছরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে না। অনেকে ভেবেছিল এ পার্টির আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব আপনাদের আমলে হোন্ডাগুন্ডার যে নির্বাচন এ দেশের মানুষ আজও ভুলিনি। কীভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন আপনারা? ১/১১ এর কথাও আমরা ভুলিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেদিন ঠাকুরগাঁওয়ে দেখলাম কোন কর্মী অ্যারেস্ট হলো, তার জন্য তিনি অঝোরে কাঁদছেন। তারপরে আবার দেখলাম ঢাকায় এসে প্রতিদিনই কান্না। অস্ত্রসহ ৬ ছাত্রদলের ক্যাডার ধরা পড়েছে, এই অপরাধীদের জন্য চোখের পানিতে ফখরুলের বুক ভেসে যায়। অপরাধীদের জন্য আপনি কাঁদেন, লজ্জা করে না? যারা অস্ত্র কিনে ব্যবসা করে, প্রকাশ্যে ধরা পড়ে, তাদের জন্য আপনি কাঁদেন! এইসব অস্ত্র জোগাড় করছেন কেন? নির্বাচন প্রতিরোধ করবেন? ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন? বাংলাদেশে সেই দিন আর আসবে না।
নেতাকর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোট চোরদের হাতে, লুটপাটকারী হাতে, দুর্নীতিবাজদের হাতে আমরা দেশ দেব না। যে হাত আগুন নিয়ে পোড়াতে আসবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেবেন। যে হাত লাঠিসোটা নিয়ে ভাঙচুর করতে আসবে, সে হাত ভেঙে দেবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে লড়তে হবে, লড়াই করে দেশকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।
এমএসআই/এমজে