আগস্ট আমাদের শোকের মাস, কান্নার মাস : মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস, কান্নার মাস। একই সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সংকল্পের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের করণীয় বলতে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করাকে বুঝি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদ।
আলোচনা সভায় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমার স্বপ্ন বাঙলার মানুষ যেনো ক্ষুধার সময় অন্ন পায়, পরনে বস্ত্র পায়, রোগে চিকিৎসা পায়, শিক্ষার আলোতে আলোকিত হয় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়। সেই পাঁচটি কাজই আজকে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করেই প্রধানমন্ত্রী থেমে নেই। তিনি ধীরে ধীরে আরও সামনের দিকে এগুতে চান। তিনি চান, মানুষের জীবন আরও মসৃণ হোক, মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাক। আজকে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন জীবন, নতুন ভবিষ্যতের আশা অভিভাবক, বাবা-মায়েদের চোখে এঁকে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ফকিররাও এখন পান্তা ভাত খায় না। এখন ফকির খাওয়াতে চাইলে তারা মেন্যু জিজ্ঞেস করে। প্রথমেই বলে দেয়, ফার্মের মুরগির গোস্ত খাইতাম না।
আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘুমের সময় বাদে বাকি সময় তিনি ভাবেন, কীভাবে মানুষকে দিতে পারবেন। এই দেওয়ার চিন্তা প্রধানমন্ত্রী তার পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় সংকল্প থেকে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছা তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আর আজকে প্রধানমন্ত্রী তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই উৎসর্গ করে দিচ্ছেন পিতা-মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে এ দেশের মানুষকে একটি উজ্জ্বল আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার জন্য।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন নির্বাচন কমিশনকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য। নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এটাইতো সংবিধানের কথা, এর বাইরে তো কোনো সুযোগ নেই। আজকে তারা (বিএনপি) বলছে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন করতে দেবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারতো একটা ডেড ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে আসার আর কোনো প্রশ্নই ওঠে না, সংবিধানে নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বক্তব্য বিএনপি ফেসবুক, ইউটিউব সবখানে প্রচার করছে। যেখানে আমাদের মিডিয়াগুলো সেটা প্রচার করছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায়। একটা পলাতক আসামির বক্তব্য বিবৃতি এভাবে প্রচার করবে এটা কোনো অবস্থাতেই যৌক্তিক না। আমরা তো সভ্য জগতে বাস করছি, অসভ্য জগতে বাস করছি না।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
এমএসি/এমএ