হেফাজতকে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ ডা. জাফরুল্লাহর
‘হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশকে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ’ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ঘুষের পয়সায় চইলেন না। আওয়ামী লীগ আপনাদের মাথায় তুলেছে। যখন মাথা থেকে ফেলে দেবে, তখন হেফাজত টের পাবে। আমরা আলোকিত মাদরাসা চাই। আলোকিত মাদরাসা কী? সেখানে বিজ্ঞান, বাংলা, অঙ্ক পড়ানো হবে, কম্পিউটার শেখানো হবে।’
বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদের স্মরণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাড়িঘর ভাঙচুর, গাড়ি ভাঙচুর সমর্থন করেন না বলে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি বার বার বলি, সংযত হোন। তবে এখানে দেখতে হবে, জনগণ কয়টি পুড়িয়েছে এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও ভারতের র (RAW) কয়টি পুড়িয়েছে। তারা ইন্দন জোগায়।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একা কিছু করতে পারব না। পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। নয়তো কারও জীবন সুখের হবে না। কেউ শান্তিতে থাকতে পারব না।’
গণস্বাস্থ্যের এ প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘জনগণ আস্তে-আস্তে ক্ষিপ্ত হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনায় বার বার প্রশ্ন আসছে, সেখানে সরকারি অফিস কেন আক্রমণ হলো? থানায় আক্রমণের একটা কারণ হতে পারে, তারা লুট করে, রাহাজানি করে, অত্যাচার করে, ঘুষের মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু তফসিল অফিস, ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে হামলার কারণ কী? কারণটা হলো, তারা সবাই ডাকাত। ২০১৮ সালে এরা ভোট ডাকাতি করেছে। ডাকাতির ফসলটা প্রধানমন্ত্রীর ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাই জনগণের ক্ষোভে যখনই সুযোগ এসেছে, তখনই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।’
বিচারপতিদের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আপনাদের সম্পদেরও হিসাব নেব। কী করে জামিন দেন? সেই কাহিনী আমরা জানি। তবে সব জজরা খারাপ না। ভালো জজ আছেন। তাদের জোর নেই। কিন্তু এই ভালো মানুষ দিয়েই কী হবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে যে, অন্যদের দয়ায় রাষ্ট্র গড়বে না। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা গড়ব। সাহস নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দুঃখের দিন শেষ করতে হবে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ বড় ছেলে কামরুল হাসান রঞ্জু, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
এএইচআর/এফআর