বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলে নিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলে নিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শুধু তাই নয়, যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, বাধ্য করা হচ্ছে সেখান থেকে রিজাইন করতে।
সোমবার (২৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের দমননীতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এত কিছুর পরও সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। গতকাল লাকসামে আমাদের কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের বাড়িতে রাত ১০টায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ৪/৫ শতাধিক নেতাকর্মী সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে, সব কিছু লুটপাট করেছে। অনেক নেতাকর্মীকে কুপিয়েছে, আহত করেছে।
এই সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে তা আশা করা যায় না। জনগণের অভ্যুত্থানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি মানতে বাধ্য হবে। পশ্চিমা বিশ্বসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইতোমধ্যে সেরকমই বার্তা সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, গতকাল উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আওয়ামী লীগ না থাকলে নাকি দেশের উন্নতি হয় না। কোথায় উন্নতি? একটু দেখেন। উড়াল সড়ক, টানেল? আজকে কাঁচামরিচের দাম তিনশ টাকা পার হয়ে গেছে। তাহলে কোথায়? হোয়ার ইজ দ্যা গভর্নমেন্ট, গভর্নমেন্ট আছে কি?
সুইস ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টধারীরা অর্থ তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, টাকা পয়সা যাদের বেশি হাতে আছে তারা টাকা কোথায় রাখছে কেউ জানে না। এটা সত্য যে, সুইস ব্যাংকের টাকা বেরিয়ে আসছে। এসব টাক কোথায় যাচ্ছে তা আমরা জানি না।
এবারের কোরবানির পশুর হাটে গরুর দাম চড়া দাবি করে তিনি বলেন, আপনারা পত্রিকায় লিখছেন, এবার গুরুর দাম চড়া, ক্রেতার সংখ্যা কম। যে দাম বেড়েছে সেটার জন্য মানুষ কিনতে পারছে না। গরুগুলো পালন করতে খামারিদের যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা এতো বেশি ছিল যে তারা দাম কমাতে পারছে না। যার ফলে বিক্রি হচ্ছে না।
এ সময় দেশবাসীকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছাও জানান বিএনপি মহাসচিব।
এএইচআর/এমএ