২১ জুন নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওয়ালের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে আগামী ২১ জুন (বুধবার) নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
পাশাপাশি বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ ও একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে আগামী ২৪ জুন (শনিবার) রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে দলটি।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই)।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলার প্রতিবাদ, সিইসির পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান বিতর্কিত সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ প্রান্তে। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো জাতীয় সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। রাতের ভোটের নির্বাচিত বর্তমান সংসদের কোনো নৈতিক বৈধতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চাই।’
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন কীভাবে হবে তার একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে- জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠন হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভার কেউই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে থাকতে পারবে না এবং জাতীয় সরকারে যারা থাকবেন তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।
নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে কারা থাকবেন তা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী মহল এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতই আমরা জাতীয় সরকারে কারা থাকবেন এবং তার কাঠামো কী হবে তা প্রকাশ করব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলমসহ অন্যান্য নেতারা।
জেইউ/এএইচআর/জেডএস