এই সরকারকে রুখতে না পারলে রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে যাবে

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ভয়াবহ দানব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, এই দানব সরকারকে রুখতে না পারলে রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে যাবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হওয়া দোয়া ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন>>আওয়ামী লীগ অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা : মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন কিছুই ভালো নেই। আজ সমাজকে সম্পূর্ণভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রকে ব্যর্থ বানাতে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য, আজকে এই সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে ভাষায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন তা সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
দলের নেতাকর্মীর নামে থাকা ৩৫ লাখ ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমসহ ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। শতাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে এই জালিম সরকার।
আরো পড়ুন>>দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সরকার হরণ করেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি। এখন আর সেন্সরশিপ দেওয়ার কিছু নেই। কারণ সেল্ফ সেন্সরশিপ চলছে। যখন গণমাধ্যমে লেখা ও চিত্র দেখি তখন মনে হয় ফ্যাসিবাদের করাল সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলেছে। আসলে ফ্যাসিবাদের শাসন এমনই হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ যার অন্যতম উদাহরণ। আমাদের অনেক তরুণ যুবককে কারাগারে দেখেছি তাদের বিরুদ্ধেও এই আইনে মামলা হয়েছে। আজকে সাংবাদিকদের বিভক্ত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যে মুক্ত গণমাধ্যম দরকার, সেটাও নেই।
আরো পড়ুন>>আবারও একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চায় আ. লীগ
আলেম-ওলামাদের সরকার রেহাই দিচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদেরকে কারাগারে ভরে রেখেছে। এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ইফতার পূর্ব অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এএইচআর/এমএ