ক্ষমা পেয়েছি শুনেছি, তবে চিঠি আনতে যাইনি : ডা. মুরাদ
অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে দলের পক্ষ থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. মুরাদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন>>ডা. মুরাদকে জামালপুর আ.লীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি
আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা চেয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি।
তিনি বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>ঢাবি ছাত্রীদের নিয়ে কী বলেছিলেন ডা. মুরাদ
প্রসঙ্গত, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ ডা. মো. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন>>সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে গেলেন ডা. মুরাদ
ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
আরও পড়ুন>>‘ডিবি পাঠাইতেছি তোরে বাইন্দা নিয়ে আসবে’ বলে ফাঁসলেন ডা. মুরাদ
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে নানা সময় দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে।
এসবের জেরে ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমএসআই/কেএ