২০২৩ সালেও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২৩ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে নতুন বছরে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
আরও পড়ুন>>মেট্রোরেল চালুতে বিএনপি খুশি হতে পারেনি : তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, পলিটিক্স অব কনফ্রনটেশন এবং পলিটিক্স অব ডিনায়াল, যেটি বিএনপি এবং তার মিত্ররা চর্চা করে, সেই সাংঘর্ষিক ও নেতিবাচক রাজনীতির চ্যালেঞ্জসহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে করোনা মহামারিতে থমকে যাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে গত দু’বছর যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আর এ বছর ২০২৩ সালেও ইনশাআল্লাহ তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে একদিকে করোনা মহামারি আরেকদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বমন্দা ও সংকটের মধ্যেই আমাদের দেশে পদ্মা সেতু এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়েছে এবং সারা দেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতবর্ষ এমনকি পাকিস্তানও অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্য।
আরও পড়ুন>>পাকিস্তান আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে : তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের স্বপ্ন ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। সেজন্য বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের উন্নয়ন, মেধা, মনন, দেশাত্মবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে সমস্ত সংকট-প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রত্যয়।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও গণমাধ্যমকর্মী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা হচ্ছে সম্মুখ সারির সৈনিক। সুতরাং সেই সৈনিকদের সঠিকভাবে প্রস্তুত করার দায়িত্ব এই গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের। সেই প্রশিক্ষণ ও চেতনা তাদের মধ্যে দিতে হবে। প্রশিক্ষণের মডিউলের মধ্যে এগুলো আসা প্রয়োজন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ইনস্টিটিউটে শুধু আমাদের দেশের প্রশিক্ষণার্থী নয়, আশপাশের দেশ ও আরও দূরদেশ থেকেও প্রশিক্ষণার্থীরা আসবে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এসএইচআর/এমএ