নয়াপল্টনে খন্দকার মাহবুবের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই রাজনীতিবিদের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান ওলামার দলের নেতা আলমগীর হোসেন।
জানাজা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তারপর মরহুমের কফিন বিএনপির দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের অত্যন্ত প্রিয় নেতার জানাজায় উপস্থিত হয়েছি। আজকে আমরা অত্যন্ত শোকাহত। তিনি দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করছেন। তিনি উচ্চ আদালতে সত্য ও ন্যায় পক্ষে লড়াই করেছে। তার মৃত্যুতে যে অভাব সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যখন কারাগারে ছিলেন তখন তার ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে লড়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তাকে যেন বেহেশতে নসিব করেন।
জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈতৃক বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
এএইচআর/এসএম