দলের নীতিতে বিশ্বাসী যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো চিত্র নায়ক-নায়িকা চাইলে সেটি অপরাধ নয়। পশ্চিম বাংলাসহ ভারতবর্ষে মিডিয়া জগতের অনেককেই মনোনয়ন দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাছাড়া মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলকে আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরে নিজ বাসভবনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন>>৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতব : মাহিয়া মাহি
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরো ঢাকা শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াত পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তবে, পুলিশ বাহিনীর কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি হতাশ। তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন>>আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাহিয়া মাহি
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনো লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন। কিন্তু সেটি হয় নাই। গত ১০ ডিসেম্বর তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তবে দেশের জনগণ সেটি কোনভাবেই হতে দেবে না।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা দেখেছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় সারা দেশের মানুষ কীভাবে উচ্ছ্বসিত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ এমনকি পাকিস্তানও অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করেনি। মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর ঢাকা শহরের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই মেট্রোরেল নিয়েও বিএনপি ধূম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তবে মানুষের উচ্ছ্বাসে তাদের সেই অপচেষ্টা ভেসে গেছে। বিএনপি সরকারের বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন>>আমাদের অবশ্যই ভুল-ত্রুটি আছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলের সভানেত্রী আমাকে আবারও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে নিজেকে উজাড় করে দলের জন্য কাজ করা। প্রয়োজনে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াব। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটাকে মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি ওই পরিস্থিতি আর কখনও সৃষ্টি করতে পারবে না।
এমএ