‘বিএনপির জাতীয় সম্মেলন কবে হয়েছে তাদের নেতারাই ভুলে গেছে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির জাতীয় সম্মেলন কবে হয়েছে তাদের নেতারাই ভুলে গেছে। তারা পাঁচ তারকামানের হোটেলে একটা সম্মেলন করেছিল। সেটা যে কবে হয়েছে তাও ভুলে গেছে। যারা দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করে না, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দল বা সংগঠন করার জন্য কোনো লোক দরকার নেই। বিদেশিদের কাছে নালিশ করার জন্য লোক দরকার। তারা ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা, রাতে ডিনার করে দেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নালিশ করে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে নাকি আওয়ামী লীগ ঈর্ষান্বিত। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কারা বেশি জনপ্রিয়।
প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা পরিচালক করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সোবহান গোলাপ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির জাতীয় সম্মেলনটা কবে হয়েছিল। তাদের কী মনে আছে। এরইমধ্যে আমাদের দুইটা সম্মেলন হয়ে গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং কবে হয়েছে মনে আছে? কেউ কি জানেন? এটা কত দিন আগে হয়েছে। তাদেরই মনে নেই আমাদের মনে থাকবে কেমন করে? যারা দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা করে না তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে?
সম্মেলন ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ যদি অন্য কোনো শাখার কর্মকর্তা পদে থাকেন, তাহলে উপকমিটিতে থাকতে পারবেন না। যদি কোনো জেলা কমিটির, থানা কমিটির, উপজেলা কমিটির কর্মকর্তা হন তাহলেও সম্ভব না। কে কোথায় আছেন, খোঁজ নিলে বের হয়ে যাবে। এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি আব্দুস সোবহান গোলাপকে অনুরোধ করে বলেন, দেখা যাবে একজনের নাম দুই-তিনটা কমিটিতে রয়েছে। এগুলো চেক করতে হবে। আমাদের অনেক কর্মী বিনা পরিচয়ে, বিনা পদে এখানে ঘুরে বেড়ায়। তাদেরকে আমরা কোনো পদ দিতে পারিনি।
ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, তাদের জন্য আমাদের নেত্রী ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অফিস করে দিয়েছেন, ছাত্রলীগ এখানে (ধানমন্ডি ৪/এ) প্রবেশ করে কেন? এখানে তো তাদের আসার কথা নয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এসএমআই/জেডএস