খুলনার পথে পথে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে : ফখরুল
খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ইতোমধ্যে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, খুলনার পথে পথে তারা আমাদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। খুলনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র যে বাসায় অবস্থান করছে, সেইখানেও পুলিশ রেইড করেছে এবং ২৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর ) সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি, খুলনায় সরকার নির্দেশ দিয়েছে- সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা লোকজনকে পথে দেখা মাত্রা গ্রেপ্তার করতে। গতকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাম দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউন করেছে। তারা সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি ।
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে। আসলে এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাই আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দিতে চায় না।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি- তারা রেলও বন্ধ করে দেবে। যদিও এখন সেটা করেনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা।
কেন বিএনপির সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে- সাংবাদিক এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, কারণ তো একটাই, এরা জনভীতি রোগে ভুগছেন। যাকে পিপল ফোবিয়া বলে। মানুষ দেখলেই এরা ভয় পায়। এ কারণে তারা জনগণকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করে। তারা ভয় পাচ্ছে, যেভাবে জনগণ জেগে উঠছে, এতে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। তখন তাদেরকে অত্যন্ত বাজেভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ভয়টা কিসের? কি কারণে তারা সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশগুলো বন্ধ করতে চাচ্ছে? একটাই কারণ মানুষ যদি বাড়তে থাকে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা আর সম্ভব হবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গে তাদের বিদায় নিতে হবে।
এএইচআর/এমএ