৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং উজ্জীবিত।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আমরা আশা করছি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোনো জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অতীতেও ইসলামী ঐক্যজোটের বিজয়ী নেতারা সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম প্রযুক্তি চলমান। কিন্তু দেশের জনগণের একটি অংশ ইভিএমে ভোটদানে অভ্যস্ত না। তাই তাদের মধ্যে একটি শঙ্কা কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। তাই জীবনযাত্রা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভিএমেও ভোট হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই ইভিএম নিয়ে জনগণের শঙ্কা কাটানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।
সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পেয়েছে। সরকারের জনকল্যাণকর পদক্ষেপগুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পক্ষে না যায় আমরা সবসময়ই তার সমালোচনা করেছি। এই প্রতিবাদের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মুফতি ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে, ২০২২ সালটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং আন্তর্জাতিক। সরকার সংকট সামাল দিতে পণ্যমূল্য নির্ধারণ করে দিলেও স্বার্থান্বেষী মহল তা না মেনে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোটি কোট টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। আমরা মনে করি, বাজারকে সহনীয় করতে হলে সরকারকে অবশ্যই এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা মুফতি জিয়াউল হক, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেমসহ ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা।
আইবি/এমএইচএস