পতাকার সঙ্গে লাঠি লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে : কাদের
বিএনপি লাঠির দিন ফিরিয়ে এনেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রোগ্রাম দেন, মহাসমাবেশ করেন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি লাগিয়ে রাস্তায় নামেন, তবে সামনের দিনে খবর আছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, সামনে খবর আছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যত পারেন আন্দোলন করেন, কিন্তু লাঠি খেলা চলবে না। আগুন নিয়ে খেলা, অগ্নি সন্ত্রাস চলবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নামবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ইচ্ছে করে উসকানি দেয় যাতে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সংঘাতে জড়ায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি, দেখছি। ২২ দলীয় ঐক্য জোটের নামে, জগা খিচুড়ি আন্দোলনের নামে বিএনপি মাঠে নেমেছে লাঠি নিয়ে। তাদের নামে নিউজ হয় পুলিশ হামলা করছে, আওয়ামী লীগ হামলা করছে। কিন্তু হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের দুইজন কর্মীর মাথা ফেটেছে, তারা হাসপাতালে। কই, এই ছবি তো দেখলাম না।
তিনি বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিদ্যুৎই দিয়েছি, খাম্বা নয়। যারা খাম্বা দিয়েছে তারা এখন রাস্তায় লাফালাফি করে। তারাই আজ বড় বড় কথা বলে। তারাই আজ বিষোদগার করে। কোমর ভাঙা বিএনপি, হাঁটুভাঙা বিএনপি এখন খুঁটির ওপর ভর করেছে। এটি আমি বলিনি, এটি বলেছেন ডা. জাফরুল্লাহ। হাঁটুভাঙা বিএনপি ভর করেছে খুঁটির ওপর।
তিনি বলেন, এ দেশে বিএনপির কি কোনো দৃষ্টান্ত আছে, যা দেখিয়ে বলবে আমাদের ভোট দিন? বিএনপি এমন কোনো কাজের নমুনা, উন্নয়নের দৃশ্যপট কোথাও কি আছে? তারা কোনো মুখে আন্দোলনের নামে লাফালাফি করে। রাজপথ দখল করবেন, দেখা যাবে, অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। এবার শেখ হাসিনার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন তিনি। যত বাধাই আসুক, প্রতিবন্ধকতা আসুক নির্বিঘ্নচিত্তে এগিয়ে যাবেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কারও হুমকির পরোয়া করেন না, কাউকে ভয় পান না। আপনারা আজ শেখ হাসিনাকে হটাতে ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা ভোটে শেখ হাসিনার সঙ্গে কোনদিনও পারবেন না। আপনারা ভোটে পারবেন না বলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।