‘বিএনপি-জামায়াতের মতো মাঠ নয়, আমরা মানুষের মন দখল করব’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত মাঠ দখলের মহড়া দিচ্ছে, এটা অশুভ ইঙ্গিত। তবে আমরা মাঠ দখলের রাজনীতি করি না। মানুষের মন দখল করব।
তিনি বলেন, কোনো অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সংঘাত নয় সহনশীলতার চর্চা করি। তার মানে এই নয় যে, অযৌক্তিক দাবি দাওয়ার নামে নাশকতা ও অপরাজনীতিকে জনগণ অনুমোদন দেবে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মন্ত্রী এম এ মান্নানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উলেক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, এম এ মান্নানের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তির সংখ্যা কমে আসছে। রাজনীতি ব্যক্তির চেয়েও বড় এবং দলের আদর্শের প্রতি আনুগত্য ও জনগণের সেবা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাই একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির ব্রত। কিন্তু আজ রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। রাজনীতি ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার নির্ভর নয়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমাদের রাজনীতি হবে মাঠ গরম করা নয়, জাতি ও সমাজের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখা এবং মানুষের মন জয় করা।
তিনি আরও বলেন, জননেতা এম.এ মান্নান ছিলেন অজাতশত্রু শুদ্ধাচারী রাজনৈতিক এবং জ্ঞানতাপস। তিনি ছিলেন জনতার এম এ মান্নান। চট্টগ্রামের একজন জাতীয় নেতা। রাজনীতিকে তিনি জনকল্যাণমুখী ধারায় প্রবহমান রেখেছিলেন বলেই তিনি সবার অন্তর ছুঁয়েছেন।
বিএনপির উদ্দেশে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে জাতিকে স্বস্তি দিয়েছেন। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি সংকট মুদ্রাস্ফীতি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হলেও প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের সঙ্গী হওয়ার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এম এ মান্নান কখনো অর্থ-বিত্তের জন্য রাজনীতি করেননি। বরং তিনি রাজনীতির জন্য অর্থবিত্ত বিসর্জন দিয়েছিলেন। খুব সাদামাটা জীবন যাপন করে দলের আদর্শিক চেতনায় সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করে গেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জননেতা এম এ মান্নান আপাদমস্তক শুদ্ধাচারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি আমৃত্যু আদর্শকে ধারণ করেছেন। তাকে কখনো রেগে যেতে দেখিনি। তার মধ্যে কখনো অহংকার ছিল না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলার সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, আইন সম্পাদক ও জেলা পি.পি. অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মরহুম এম এ মান্নানের সন্তান আব্দুল লতিফ টিপু প্রমুখ।
কেএম/এমএ