কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করেছিল আ.লীগ, জানালেন কামরুল
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছিল একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে জনগণকে উদ্ধার করার জন্য। সমস্ত পেশার মানুষকে নির্যাতন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও তারা কারাগারে পাঠিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে বিএনপি তখন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিকে বিকেন্দ্রীকরণ করার লজ্জা তাদের হয় না। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ দেখেছি। কাজেই মানুষ এখন আর সেটি চিন্তাই করতে পারে না। আকবর আলী খান অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন বলেই তিনি পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে আকবর আলী খানের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় উনি নিজ দায়িত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারে ৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, মাঝে তিনি যখন আবার শিক্ষকতায় ফিরে আসতে চাইলেন, বঙ্গবন্ধু তাকে সেই সুযোগ দিয়েছেলেন। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বঙ্গবন্ধু সেটি গ্রহণ না করে তাকে লম্বা ছুটি দিয়েছিলেন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, সাংবাদিক সৈয়দা আক্তার ইউসুফ শানু, গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আইবি/এমএ