সরকারের শেষ রক্ষা হবে না : খন্দকার মোশাররফ
আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, এজন্য তারা বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে নির্যাতনের চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে, গুম-খুন, মামলা-হামলা, নির্যাতন করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না, সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে না।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।
মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলেন তারা গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কোথায় উন্নয়ন? দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। মেগা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত টাকা দেশে রেখে কীভাবে সামলাবে, তাই বিদেশে পাচার করছে সরকারের লোকেরা।
বিদ্যমান সংকট থেকে দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে হলে বিনা ভোটের আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, এজন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এদের বিদায় করতে হবে। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলে বেড়াচ্ছে বিএনপি আগুন-রক্ত নিয়ে খেলছে। আমি বলতে চাই অতীতে রাজপথে রক্ত ঝরানো ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনই সফল হয়নি। ’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১ এবং নব্বইয়ে আমরা তা দেখেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনেও রাজপথে রক্ত ঝরছে। এ রক্ত বৃথা যাবে না। তীব্র আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আবু ইউনুস, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এএইচআর/এসএম