সরকার বিএনপিকে নির্মূল করে দিতে চায় : মির্জা ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে নির্মূল করে দিতে চায় বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এ ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুম, খুন, হত্যার মধ্যে দিয়ে তাদের একদলীয় শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা বিরোধী দল-মতকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপিকে তারা নির্মূল করে দিতে চায়।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পড়ান ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেছারুল হক।
শাওনের রক্ত বৃথা যেতে পারে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার এ আত্মত্যাগ ও আত্মদান আমাদের আরও শক্তিশালী করবে। শাওনের আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করব। সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করে এ সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন : শাওনের জানাজায় নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেয়নি পুলিশ : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমরা যে লড়াই শুরু করেছি, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম-লড়াই করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করব।
মিছিলে সরকারের পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তে যুবদল কর্মী শহীদ হয়েছে। আমরা আজ সকালে নারায়ণগঞ্জে তার বাসায় গিয়েছিলাম। তার মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। সে একটা ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করত এবং যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিল।
তিনি আরও বলেন, কী অমানবিক ও হৃদয়বিদারক যে সরকার তার লাশটিও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। সবশেষে রাত ২টায় পুলিশ পাহারায় তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তার পরিবার, নেতাকর্মী, বন্ধু-বান্ধব কাউকে জানাজায় অংশ নিতে দেয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
এএইচআর/এসকেডি