বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক-অভিন্ন : এনামুল হক শামীম
পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক-অভিন্ন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মোশতাক, জিয়াউর রহমান গংরা মনে করেছিল জাতির পিতাকে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলবে। কিন্তু তার নাম মুছে ফেলা যায়নি। হৃদয়ে লেখা নাম মুছে ফেলা যায় না।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একজন নেতা যিনি একটি রাজনৈতিক দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একটি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। আসলে তিনি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়, আরও অনেকে অনেক ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন। আসলে এ ভাষণের সঙ্গে অন্য কোনো ভাষণের তুলনা হয় না। একটি জাতিকে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য, স্বাধীন করার জন্য যা কিছু করার দরকার, তিনি তা করেছিলেন।
শামীম বলেন, বাংলাদেশের নামও তিনি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে আগেই পতাকা উড়িয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত করার বিষয়টি আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য হারুন-অর রশীদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছে, কিন্তু দেশের মানুষের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলতে পারেনি। এটা কখনো সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুখচ্ছবি। যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তারাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/আরএইচ