বিএনপি-জামায়াত এ উন্নয়নমুখী সরকার উৎখাতে চক্রান্ত করছে : মায়া
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ষড়যন্ত্র এখন চারদিকে চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। বিএনপি ও জামায়াত আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার এ উন্নয়নমুখী সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আজকের আলোচনা সভা থেকে আমাদের শপথ হবে, বেগম মুজিবের প্রতি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধাবোধ ভালোবাসা তখনই হবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ধৈর্যসহকারে কাজ করি। ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে এবং ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করব, এটাই হবে শপথ।
আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, এছাড়া অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আর যেন বাংলাদেশে কোনো হত্যা, ক্যু করতে না পারে সেজন্য সজাগ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অপশক্তিকে আমরা উৎখাত করব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে পেছন থেকে প্রেরণা দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ৭ মার্চের ভাষণের পেছনে তার প্রেরণাটাই ছিল উল্লেখযোগ্য।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি নিয়ে দেশে-বিদেশে, দেশের আনাচে কানাচে ছুটে বেড়িয়েছেন। বেশির ভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন। পারিবারিক ঝড় ঝক্কি বঙ্গমাতাই সামাল দিয়েছেন। বঙ্গমাতা পেছন থেকে প্রেরণা দিয়েছেন বলেই বঙ্গবন্ধু তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।
সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে তার স্বামী, তিন পুত্র এবং দুই পুত্রবধূর সঙ্গে হত্যা করা হয়। আগস্ট মাস একটি দলের জন্য আনন্দের মাস। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জিয়ার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। এই আগস্টেই বিএনপি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে এখনই বিদায় করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব না থাকলে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হতেন কি না সন্দেহ রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ও তার আদর্শ দর্শনকে পরিচালনা করেছেন, প্রেরণা দিয়েছেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. খালেদা খানম প্রমুখ।
আইবি/আইএসএইচ