গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করা গণহত্যার সামিল
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলি করা ও গণতন্ত্রপন্থীদের ফাঁসি দেয়া গণতন্ত্র হত্যার সামিল। যেটা গতকাল বাংলাদেশের ভোলায় এবং কিছুদিন আগে মিয়ানমারে করা হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের সামরিক আদালতে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়নীতিমালা পরিবর্তন করার প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এখন আবার তারা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের সামরিক আদালতের নামে হত্যা করছে। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের পক্ষ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যদি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিচারের নামে এ হত্যা অব্যাহত রাখে, তাহলে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য দেশের গণতন্ত্রী চিন্তার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাও করবে।
এছাড়া আগামী ৪ আগস্ট জাতিসংঘের ঢাকাস্থ অফিসে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের জীবন রক্ষার দাবিতে ও মিয়ানমারের গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার দাবিতে বাংলাদশের গণতন্ত্রী জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মহাসচিবের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কারী ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক কমরেড আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হারুন চৌধুরী, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কায়সার মনসুর, ক্যাপটেন আইনুল হক প্রমুখ।
আইবি/আইএসএইচ