সড়কে নৈরাজ্যে প্রতিদিন শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনি তো গোটা সড়ক ব্যবস্থাকে নৈরাজ্যের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। গতকাল মাইক্রোবাসে করে ১১ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছিল, ট্রেন সবাইকে হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। রাজনীতি, বিচারবিভাগকে ধ্বংসের পর এবার অর্থনীতিকে শেষ করছে। এটা তাদের চরিত্র। সরকার উন্নয়নের মিথ তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
দুর্নীতি, মেগা চুরির কারণে বিদ্যুৎখাতে ভরাডুবি, লোডশেডিং হচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এখন আবার দুর্নীতি করতে নিজস্ব লোকদের দিয়ে বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করছে।
সরকার দেশ ধ্বংসে পোড়া মাটির নীতি অবলম্বন করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপি জনগণকে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলে দেশে জনগণের সরকার গঠন করবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সরকার পতনের জন্য একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই সরকারের পতন না হলে মানুষের কষ্ট কমবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম এবং সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফাত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবী উল্লা নবী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
এএইচআর/জেডএস