ক্ষমতা হাতে পেলেও ঋণের কারণে দেশ চালাতে হিমশিম খেতে হবে : নূর
বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ঋণ নিয়ে সরকার দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছে। আগামীকাল যদি সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমাদের হাতেও দেয়, আমরাও দেশ চালাতে হিমশিম খাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ মানববন্ধনটির আয়োজন করে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব বলেন, ঋণের ভারে জর্জরিত করে সরকার দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই জনগণকে বলছি, সময় নেই। এদের যত সময় দেবেন, দেশ তত খাদের কিনারায় যাবে। কাজেই সময় থাকতে সংঘটিত হন, গণ-আন্দোলন গড়ে তুলুন।
নূর বলেন, তিন লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণের কিস্তি ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে দিতে হবে। এই ঋণগুলো করেছে মাফিয়ারা।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেব না। এ ঘোষণার চার দিনের মাথায়ই আমরা দেখলাম, আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার, জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকার কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আগে যে কথা বলেছেন, চার দিন পরই তাদের কথা ও কাজের মিল নেই।
জ্বালানি তেল প্রসঙ্গে নূর বলেন, জ্বালানি তেলে তিন-ছয় মাস চললে সেটা ভালো। কিন্তু আমরা দেখছি তাদের কথায় ও কাজে কোন মিল নেই। কিছুদিন আগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অনুষ্ঠান করেছে। কোথায় গেলে এসব চাপাবাজি-ভেলকিবাজি।
তিনি বলেন, শহরে একটু কম লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ২৬০০ মেগাওয়াট আপনাদের সক্ষমতা আছে। কিন্তু চাহিদার ১৫০০ মেগাওয়াটই কেন দিতে পারছেন না। আপনাদের লুটপাট এবং ধোঁকাবাজির উন্নয়ন এখন জনগণের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
সরকার প্রধানের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু হিংসাত্মক কথা বলেন। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকলেও তিনি বলেন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এ ধরণের মিথ্যাচার পুরো জাতিকে হতভম্ব করে।
মানববন্ধনে মালয়েশিয়াগামী প্রবাসীদের নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন নূর। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট হঠিয়ে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯০০ টাকায় মালয়েশিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশী বেকারদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। অভিবাসন ব্যয় এক লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। মালয়েশিয়াগামী প্রবাসীদের সংকটের সমাধান না করা হলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান, মালেক ফরায়েজি, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম সাফায়েত হোসেন প্রমুখ।
এনআই/এমএইচএস