বিএনপিকে ‘না’ ভূতে পেয়ে বসেছে : হাছান মাহমুদ
নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ডাকাত সংলাপে অংশ না নেওয়ায় বিএনপিকে ‘না’ ভূতে পেয়ে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীতে নিকুঞ্জ খেলার মাঠে আয়োজিত খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে সংলাপে ডেকেছিল, তারা যায়নি। বিএনপির সবকিছুতে না। সংসদ নির্বাচনে না, পৌরসভা নির্বাচনে না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে না, সংলাপ না, সবকিছুতে না। আসলে তাদের ‘না’ ভূতে পেয়ে বসেছে। নানা ধরনের ভূত আছে, বিএনপিকে পেয়ে বসেছে না ভূতে, যে কারণে তাদের সবকিছুতে না।
মন্ত্রী হাছান বলেন, আসলে বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। কারণ গত দুই নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান সব দলের ঐক্য করে বিএনপি ঝুলিতে মাত্র পাঁচটি সংসদীয় আসন পেয়েছে। সে কারণে তারা এখন আর নির্বাচনে যেতে চায় না। আরেকটি কারণ হচ্ছে, নির্বাচনে গেলে খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবে না, তারেক রহমানও পারবে না। এজন্য খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না, তারেকও না। সেজন্য তারা নির্বাচন চায় না, সংলাপেও যেতে চায় না।
তবে ২০১৪, ২০১৮ সালে নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করে নাই, ট্রেনের পাদানিতে চড়ে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠেছিল। এবারও নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, হুঁশিয়ারি দেন তথ্যমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও বিএনপির প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপি এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে, যখন মেট্রোরেল চালু হবে তখন তো বিএনপি পাগল হয়ে যাবে। আর এ বছরের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্ণফুলি টার্নেল উদ্বোধন হবে। তখন বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশ গত দুই বছরে ঘুরেছি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা, যে উচ্ছ্বাস বিরাজমান দেখেছি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ ধস নামানো বিজয় হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না, সে কারণে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ —বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নেতৃত্বের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আর যারা দুঃসময়ে দলের সঙ্গে ছিল এবং দুঃসময়ে থাকবে, সেই পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের হাতেই দলের পতাকা থাকবে।
খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান প্রমুখ।
এইউএ/এসএম