আওয়ামী লীগের ‘ঈদবার্তা’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও স্বাভাবিকভাবে চলছে সব কার্যক্রম। ঈদুল আজহা উদযাপনে এরই মধ্যে গ্রামে ফিরে গেছেন অধিকাংশ নগরবাসী। দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে উৎসব ভাগাভাগি করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এখন অবস্থান করছেন গ্রামে।
তারা বলছেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বিভেদ ভুলে আগামী নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা তারা তৃণমূলে দেবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেন, সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব, বিভেদ ও বিচ্ছেদ ভুলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দল ও জনগণকে সংগঠিত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, কর্মসূত্রে মানুষ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাদের বেশির ভাগই গ্রামে ফিরে যান। এ সময়ে এলাকায় থাকলে মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, জনসংযোগের কাজও হয়ে যায়। তাই অধিকাংশ নেতা চেষ্টা করেন নিজ জেলায় ঈদ উদযাপন করতে। আবার যারা ঈদের সময় থাকতে পারেন না, তারাও ঈদের আগে এলাকা থেকে ঘুরে আসেন।
ফোন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অধিকাংশ নেতা। পাশাপাশি নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য পাঠিয়েছেন ঈদ উপহার। কেউ কেউ কোরবানি দেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে গরু-ছাগলও কিনে দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ লিখেছেন, আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন। ঈদুল আজহা আপনার পরিবারে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ঈদুল আজহার মূল বাণী হচ্ছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক মানুষের জীবন। দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতি করা এবং জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা এবার আমরা দেব।
সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনে অন্যতম সফলতা হচ্ছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবের পর এখন এসেছে ঈদুল আজহা। আমরা উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে ঈদ পালন করি। এ উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়েই আমরা এখন সাংগঠনিক কাজ শুরু করব এবং নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া পর্যন্ত আমরা এ গতিতে এগোতে থাকব।
এইউএ/এমএআর/