আওয়ামী লীগ-বিএনপির চরিত্র একই : জিএম কাদের

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যেন দেশের ইজারা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

তিনি বলেন, দুটি দলের আদর্শগত অমিল রয়েছে কিন্তু চরিত্রগত কোনো অমিল নেই। এরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে এক ধরনের কথা বলে আর ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অন্যরকম কথা বলে। 

শনিবার (১৮ জুন) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টিতে মেজর (অব.) মো. শাহ আলম জমাদার ও ব্যবসায়ী আলম সরকারের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে যোগ দেন।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বিরোধী দলে থাকলে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় আর ক্ষমতায় গেলে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন নেই। ক্ষমতায় থাকলে দেশের দুর্নীতি, বিচার বহির্ভূত হত্যা আর গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট সম্পর্কে বলে, সবই ভুয়া আর বিরোধী দলে থাকলে বলে সব রিপোর্টই সঠিক। আবার ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি টেন্ডারবাজি, দলবাজি আর সাধারণ মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করে। ক্ষমতায় গিয়ে তারা রাজত্ব তৈরি করে, সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের কোন খেয়াল থাকে না। কোনো ইস্যু পেলেই নাচে-গানে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে কিন্তু সাধারণ মানুষের অবস্থা তারা বুঝতে চায় না। 

আগামী দিনে যদি রাজনীতি না টিকে তা হবে দুঃখজনক উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে রাজনীতি না টিকলে হয়ত রাজনৈতিক দল থাকবে, দলের নেতাও থাকবে কিন্তু গণমানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের হাত থেকে দেশের মালিকানা লুট করেছে। 

তিনি বলেন, জনগণ হচ্ছে দেশের প্রকৃত মালিক তারা যাদের নির্বাচিত করবেন তারাই কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু দেশের মানুষের মালিকানা নেই, তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে না। ব্রিটিশ আমলে দেশের টাকা লুট হয়ে লন্ডনে যেত। পাকিস্তান আমলে দেশের টাকা লুট হয়ে ইসলামাবাদ যেত। এখন দেশের টাকা লুট হয়ে বিভিন্ন দেশে যায়। শুধুমাত্র সুইস ব্যাংকে গত এক বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। দুটি দল দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এখন সরকারি দল না করলে চাকরি মেলে না, সরকারি দল না করলে ব্যবসা করা যায় না। এর ফলে একটি শ্রেণি ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে।

এএইচআর/এসকেডি