তাজরিনের মালিকের পদ পুনর্বিবেচনা করবে মৎস্যজীবী লীগ
মৎস্যজীবী লীগের কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাজরিন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ার হোসেন। মামলা চলমান অবস্থায় এ ধরনের পদ পাওয়া নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় কমিটি বলছে, বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবে।
চলমান মামলা থাকার পরেও এমন একজন ব্যক্তিকে পদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর বলেন, ‘মামলা তো অনেক জনের বিরুদ্ধে রয়েছে। ওনার একটা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, দুর্ঘটনা ঘটেছে, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।’
মৎস্যজীবী লীগ কি বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, এটা আমি বলিনি। এটা কোর্টের ব্যাপার। মামলা হয়েছে। এটা আমরাও শুনতেছি বিভিন্ন পর্যায় থেকে। বিভিন্ন পত্রিকায় আসতেছে। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই করতেছি। কাউন্সিলররা চেয়েছে, চাওয়ার পরে এ ঘোষণার এসেছে। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমরা যাচাই বাছাই করব।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দেশের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অন্তত ১১১ জন।
দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের হতে না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তাজরীন গার্মেন্টেসের মালিক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার হন দেলোয়ার। কয়েক বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন তিনি। মামলা চলমান অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পদ পেয়েছেন তিনি। গত ১১ মে মৎস্যজীবী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পদে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
এইউএ/এসএম