বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার আহ্বান সিপিবির
বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, অযোগ্য মন্ত্রী-আমলা আর কমিশন ভোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় নয়াপল্টন মুক্তি ভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দাম কমানোর উদ্যোগ না নিলে বামপন্থী অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, সরকার আজ ডাবল ব্যর্থ। সাধারণ জনগণের আয় বাড়াতে পারেনি, অথচ বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনতে বাধ্য করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করছে। সাধারণ মানুষকে আজ প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন দিশেহারা তখন সরকারের মন্ত্রী বলছেন, ‘মূল্য বৃদ্ধির প্রশ্নে সরকারের কিছুই করার নেই। এ সরকারের আর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের পকেট কাটার সরকার আর না।’
দেশ এবং সরকার আজ লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দি দাবি করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দেশ চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার এদের রক্ষক, পাহারাদার। তাইতো ঈদের সময় মানুষকে জিম্মি করে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়াল।
বর্তমান সরকার সিন্ডিকেট মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদেরই পুরস্কৃত করলো বলে মন্তব করে প্রিন্স বলেন, এই সরকারই এসব কারসাজির মূল হোতা।
ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে প্রিন্স আরও বলেন, অবিলম্বে তেলের দাম কমানো এবং বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে তেলসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলতে হবে।
সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণের সরকার হলে দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ মানুষে মতামত নিত। এটা না করে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অস্বাভাবিকভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে প্রমাণ হয়, এ সরকার জনগণের না, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সরকার।
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, আনোয়ার হোসেন রেজা ও লাকী আক্তার।
এএইচআর/এসএম