নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে বিএনপি
নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জাতীয় সরকার গঠন এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘোষিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভা নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা ব্যক্ত করা হয়েছে। একটি স্পষ্ট দিক নির্দেশনা। নতুন এই দলীয় কৌশল নির্ধারণের জন্য দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক হঠাৎ করে ১৭ হাজার ২৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সভা মনে করে—একদিকে যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে ফেলবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানের ঢাকা-টরন্টো পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণ, অন্যদিকে টিসিবির ট্রাকের পেছনে অভাবী মানুষের দীর্ঘ লাইন, আওয়ামী সচ্ছল পরিবারদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের কার্ড বিতরণ জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। যেহেতু এ অনির্বাচিত সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই সেহেতু জনগণের দুর্ভোগ ও দুঃখ-কষ্ট লাঘবের কোনো উদ্যোগও এ সরকারের নেই বলে সভা মনে করে।
স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন—দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ।
এএইচআর/এসএম