সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ আজ হতাশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০০৮ সালের জরুরি সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। অবৈধ সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে মানুষ আজ হতাশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই মুনাফা থেকে লুটপাটে ব্যস্ত।
রবিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, আমরা যেতে চেয়েছিলাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে কিন্তু আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে আমাদের যেতে দেয়নি। সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। আজ যখন ইতিহাসের সত্যগুলো বলতে যাই, আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা উঠে। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, রক্ষীবাহিনী তৈরি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। আর সেখানে বিএনপি সফল হয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা আজ লক্ষ লোক নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করছি। আর তারা ২ থেকে ৩শ লোক নিয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে বসে আছে। এই চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া তিন লাখ লোক নিয়ে সমাবেশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা এক লাখ লোকও আনতে পারেননি। লালদিঘীর ময়দানে বিএনপি লাখো মানুষ নিয়ে সমাবেশ করেছিল। আওয়ামী লীগ ৩শ লোক নিয়ে করেছিল। বিএনপির সমাবেশ দেখে তারা এখন লালদিঘীর মাঠই বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধকে বেচাকেনা করে, তাদের কোনো ইতিহাস নেই। তাদের ইতিহাস পালিয়ে পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মাহবুবর রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার।
বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ।
কেএম/আইএসএইচ