আ. লীগের অনেক অপরাধ : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা ফ্যাসিস্ট, বিনাভোটে নির্বাচিত সরকার আজকে মানুষের ওপরে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়েই চলেছে। সাধারণ মানুষকে ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। মানুষকে বাঁচাতে হলে এ সরকারকে হটানো ছাড়া উপায় নেই। আওয়ামী লীগের অনেক অপরাধ, তারা এ অপরাধের হিসাব দিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার যদি আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকে তাহলে দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রশাসন, আমলাতন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে, আদালতকে ধ্বংস করেছে। সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং ভালোয় ভালোয় পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।
তিনি বলেন, সোমবার (৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী দুবাই গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি কিছু বক্তৃতা দেন। তার মধ্যে একটি জায়গায় বলেছেন, করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থেকে শুরু হলো, আর কবে থেকে এ দেশের মানুষ চিৎকার করছে, তেল-চাল-ডালর দাম কমাও। দুই বছর ধরে করোনার সময়ে যে চুরি, যে ডাকাতি আপনারা করেছেন স্বাস্থ্যখাতে, প্রণোদনার নামে যে দুর্নীতি হয়েছে সে কথার জবাব কে দেবে প্রধানমন্ত্রী?
সারাদেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, দেশে ২ শতাংশ দরিদ্র বেড়েছে। মানুষ বলতে পারে না। মুখোশ পরে টিসিবির লাইনে দাঁড়ায়। সে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মানুষ একটু চাল, ডাল, আলুর জন্য ধাক্কাধাক্কি, মারামারি করে।
এই সরকারের বাজারের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশে যত চাঁদাবাজি, ঘুষ খাওয়া সবকিছুর মূলে এ আওয়ামী লীগ। যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করেছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস