বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : ফুটছে বিশ্ব, সংকটে বাংলাদেশ
বিশ্বজুড়ে চলছে ব্যাপক তাপপ্রবাহ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। সব রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের উষ্ণতম মাস হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই মাস। পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারের গরম অস্বাভাবিক বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে উষ্ণ মাস।
কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (Copernicus Climate Change Service) ও ডব্লিউএমও (World Meteorological Organization) জানায়, ২০২৩ সালের ৬ জুলাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ দিন। জুলাই মাসের ২৩ দিন ছিল চরম উষ্ণ। জুলাইয়ের প্রথম ২৫ দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০১৯ সালের রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেশি।
তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (António Guterres) বলেছেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যুগ শেষ, বিশ্ব এখন ‘গ্লোবাল বয়েলিংয়ের’ / ‘বৈশ্বিক ফুটন্ত’ যুগে প্রবেশ করেছে।”
আরও পড়ুন >>> বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ কী?
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। তারই প্রভাবে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। আমরা ইউরোপে, চীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে তাপপ্রবাহ দেখছি তা আসলে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তাপপ্রবাহের মধ্যে আছেন। এছাড়া উত্তর আমেরিকা, কানাডা ও এশিয়ায় আবহাওয়ার অবস্থা ভয়ংকর। কানাডা ও গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল জ্বলছে। দাবানল এবার অন্য দেশেও ছড়াচ্ছে। এইদিকে এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানে প্রবল বৃষ্টি ও ভয়ংকর বন্যা হয়েছে।
আমেরিকার ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) [US National Oceanic and Atmospheric Administration] ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে এল নিনো (El Niño) শুরু হওয়ার সংবাদ দিয়েছে। এল নিনো অর্থ ‘ছোট বালক’। পৃথিবীর পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির ওপর এল নিনোর অভিঘাত প্রমাণিত হওয়ায় এখন এই বিষয়ে বেশি আলোচনা শোনা যায়। ২০০০ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত মোট ছয়বার পৃথিবীতে এল নিনোর আবির্ভাব ঘটেছে।
এল নিনো-লা নিনা (El Niño and La Niña) চক্র হচ্ছে প্রাকৃতিক ঘটনা। বিখ্যাত সায়েন্স পত্রিকায় বলা হয়েছে (২০০১), এল নিনো এক লাখ ৩০ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছিল। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র এল নিনো দায়ী নয়।
এই কথা এখন প্রমাণিত যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড (জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কৃষি, দূষণ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ইত্যাদি) প্রধানত দায়ী। তবে এই কথা ঠিক যে বর্তমান বৈশ্বিক ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার সঙ্গে এল নিনো প্রবলভাবে দেখা দিলে তার অভিঘাত মারাত্মক হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে ২০২৪ সাল হবে উষ্ণতম বছর। প্রভাবশালী বিজ্ঞান জার্নাল নেচারে প্রকাশিত মত অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন এল নিনোর ঘটনা ঘটছে। তবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের উপকূলবর্তী যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি হুমকির সম্মুখীন, বাংলাদেশ তার একটি। বাংলাদেশে দুই দশক ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সুস্পষ্ট। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ সব সময়ই দুর্যোগপ্রবণ দেশ, এর পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দুর্যোগের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে তীব্র তাপদাহ, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা, নদী ভাঙন কিংবা বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে।
আরও পড়ুন >>> বিশ্ব পরিবেশ দিবস : আমাদের ব্যর্থতা ও করণীয়
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিগ্রস্ততার বিচারে বিশ্বব্যাপী গবেষকগণ বাংলাদেশকে পোস্টার চাইল্ড (Poster Child) হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত তালিকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা যে হারে বাড়ছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু সূচক-২০২১ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৮৫টি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগ রয়েছে। এতে ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭২ কোটি ডলার।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০২২ সালে প্রায় দশ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মেয়াদে বন্ধ রাখা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম, সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ এবং দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার। সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ এল নিনো ঝুঁকির মধ্যেই অবস্থান করছে। এল নিনো ঝুঁকিপ্রবণ অনেক দেশ এই ব্যাপারে তাদের করণীয় ঠিক করেছে। কাজেই বাংলাদেশকে তার অবস্থা অনুযায়ী এখনই কৌশল গ্রহণ করতে হবে। দেশে চলমান জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন কর্মকাণ্ডকে এল নিনো ঝুঁকির আলোকে পর্যালোচনা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে খরা ও লবণাক্ততাকে বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।
শিল্পায়নের আগে বিশ্বের যে গড় তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে দেড় ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে জুলাইয়ে। এটা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়। নাসার গোডারড ইন্সটিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ (জিআইএসএস) [NASA Goddard Institute for Space Studies] হিসাব দিয়েছে, ১৮৮০ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি দশকে প্রায় ০.১৫ থেকে ০.২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হারে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, বিশ শতকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। কিন্তু সেটি ২০৩০ সালের আগেই ২০২৪ সালে ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক ০.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার বৃদ্ধি মানুষ, জীবজগৎ তথা প্রকৃতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারে। আগে এত কম তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। বলা হচ্ছে, বৈশ্বিকভাবে অর্ধডিগ্রি কিংবা ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা প্রকৃতিতে ক্লাস্টার বোমার মতো পরিণাম ডেকে আনে।
আরও পড়ুন >>> আধিপত্য নয়, বন্ধুত্ব করি প্রকৃতির সঙ্গে
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে মেরু বরফ বিগলন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি ধ্বংস, শস্য উৎপাদন হ্রাস, বাস্তুতন্ত্র পরিবর্তন, প্রবালপ্রাচীর বিনষ্ট হওয়ার মতো ঘটনাগুলো এই কারণেই ঘটছে। খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, দাবানল, বজ্রপাত ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘হিট-ওয়েভ’-এ আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট রোগব্যাধিও বেড়েছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য জাতিসংঘ নানাভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কয়েকটি জলবায়ু সম্মেলনে (কপ : কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ) এই ব্যাপারে নানা ধরনের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২১) বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তাপমাত্রার ওপরে ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখা এবং তা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করার চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। পরেও কয়েকটি সম্মেলনে (কপ ২২-২৭) এই ব্যাপারে নানা ধরনের চুক্তি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এতগুলো সম্মেলন ও চুক্তির পরও বৈশ্বিক তাপমাত্রা আশা অনুযায়ী সীমিত রাখা সম্ভব হয়নি।
২০১৫ সালে কপ-২১-এ ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা করার যে জলবায়ু তহবিল গঠন করার অঙ্গীকার করে সেখানেও অর্থ জমা দেয়নি অনেক দেশ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো জলবায়ু তহবিলে অর্থ জমা দেওয়ার বিষয়ে অনেক পিছিয়ে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর জন্য দেশগুলোর সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের তীব্র তাপদাহের কারণ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বনায়নের পরিমাণ কমে যাওয়া, কলকারখানা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অতিরিক্ত জনসংখ্যা ইত্যাদি। তবে গবেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য মূলত গ্রিনহাউস গ্যাস দায়ী। জাতিসংঘ বলছে, বছরে ৩০ গিগাটন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ করতে পারলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৬.৭৩ এবং ১৫.১২ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস যথাক্রমে শর্তহীন ও শর্ত সাপেক্ষে কমানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। দেশে ভবন নির্মাণ, ব্যবহার ও বিনষ্টকরণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সন্তোষজনকভাবে ব্যবহার, শহরগুলোর মধ্যে যথেষ্ট বনায়ন ও জলাশয় তৈরি করা, সবুজ যানবাহন ও সবুজ পরিবহন ব্যবস্থা, কার্বন মূল্য বা ট্যাক্স ধার্য ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।
আরও পড়ুন >>> উন্নয়ন প্রকল্প কি বায়ু দূষণের কারণ?
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন, প্রশমন কার্যক্রম বাড়ানো, টেকসই উন্নয়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে।
বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ১৪.৫ শতাংশের জন্যই প্রাণী পালন ও প্রাণী প্রজনন দায়ী। দেশে গ্রিনহাউস গ্যাস সীমিত করতে গবাদি পশুর খাবার বিজ্ঞান সম্মতভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। কৃষিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সারের প্রয়োগ ও কীটনাশকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করেও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকে সীমিত করা যায়।
আমরা মনে করি, এল নিনো ও ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা এই দুটি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে উপরোক্ত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ছাড়া এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত থেকে মুক্তি পাওয়া অকল্পনীয়। এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ বাঁচানোর কাজে আর দেরি করা চলবে না। এটা আবশ্যিক কাজ এবং এখনই তা করতে হবে।
ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ ।। অধ্যাপক ও গবেষক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]