আগস্ট হত্যাকাণ্ড : বর্তমানের দায়
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে পাপ করেছে তা থেকে এই জাতির কোনোদিন মুক্তি নেই। এই পাপ অমোচনীয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তার পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের হত্যার খবরে হতবাক সারা বিশ্ব। সকালের বৈঠকেই ব্রিফ করা হলো জার্মানির চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ডট (Willy Brandt)-কে । সব শুনে উইলি বললেন—যে জাতি শেখ মুজিবের মতো নেতাকে হত্যা করতে পারে সেই জাতিকে আর বিশ্বাস করা যায় না। একটা জাতির জন্য এর চেয়ে বড় কলঙ্কজনক, অসম্মানজনক আর কিছু হতে পারে না।
অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে পাপ করেছে তা থেকে এই জাতির কোনোদিন মুক্তি নেই। এই পাপ অমোচনীয়।
আরও পড়ুন >>> বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : নেপথ্যের কুশীলব কারা?
ইতিহাসে রাজ্য দখল বা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে, রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার কারণে হত্যা ও রক্তপাতের অনেক দৃষ্টান্ত আছে। এইসব ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনিই, যাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য অর্জন করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে যা হয়েছে তাতে ক্ষমতা দখলের সংকীর্ণ লক্ষ্য অর্জনের চাইতেও অনেক বেশি কিছু ছিল।
একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে নয় শুধু, নারী-শিশুসহ তার পরিবারের সব সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা নারী, দায়িত্ব পালনরত পেশাজীবী সেনা কর্মকর্তা, এমনকি ঘটনাস্থলের অদূরে সাধারণ মানুষ। শুধু তা-ই নয়, সেই নেতার সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীদেরও পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের নিকটতম আত্মীয়দেরও রেহাই দেওয়া হয়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের পরপর খুনিরা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতায়ই বসেনি, আইন করে হত্যার বিচার বন্ধ করেছে। রাতারাতি রাষ্ট্রের চরিত্রই পাল্টে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের গতিমুখ আমূল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের দুটি ঘটনায় নিহত প্রতিটি ব্যক্তি, মানুষ হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু, নববধূ ও গৃহবধূরা, গৃহ পরিচারিকা, নিরস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীসহ রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নাগরিকরা যাতে বিচার না পান তার জন্য সব পথ বন্ধ করার তৎপরতা চালানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। আমি বলি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে পাপ করেছে তা থেকে এই জাতির কোনোদিন মুক্তি নেই। এই পাপ অমোচনীয়।
আইন করে, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে ২১ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিহতের পরিবারগুলোর বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। হত্যাকারী ও তাদের মদদদাতাদের বক্তব্য বা অবস্থান থেকে এটা স্পষ্ট যে, তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পুনর্গঠনের উদ্যোগকে বঙ্গবন্ধুর মূল ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেই ‘অপরাধের সাজা’ও তারা নির্ধারণ করে এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই ‘সাজা’ কার্যকরের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুন >>> তোমাদের যা বলার ছিল, বলছে কি তা বাংলাদেশ?
দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় চার নেতাকে কারাকক্ষে হত্যা এবং তৃতীয় ধাপে সামরিক বাহিনীগুলো থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। কিছু সেনা সদস্যের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর সেই ‘অপরাধ’কে পরবর্তীতে ‘জাতির জন্য ক্ষতিকর’ চিহ্নিত করে বৃহত্তর পরিসরে পঁচাত্তর ও তৎপরবর্তী হত্যাকাণ্ডগুলোর যৌক্তিকতা তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। একই যুক্তিতে আজও কিছু দল ও ব্যক্তি ওই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডগুলোর বৈধতা দেওয়ার চেষ্টায় তৎপর।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, ‘অপরাধী’র (হত্যাকারীর দৃষ্টিতে) পারিবারিক ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্মূল করা। এটা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে গোত্র সংস্কৃতির মধ্যে দেখা যায়, যা রাজতন্ত্রের অবসানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ ভূখণ্ডে অতীত হয়েছে।
যেসব ‘রাজনৈতিক শক্তি’ ও ‘সুশীল সমাজ’-এর অংশগুলো (হাল আমলে তারা সংখ্যায় নগণ্য হলেও ক্রিয়াশীল) ওই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে, সাংস্কৃতিকভাবে তারাও আজ পর্যন্ত গোত্র সংস্কৃতিই লালন করে চলেছে। তারা নতুন করে গোত্র সংস্কৃতির উত্থান ঘটাতে তৎপর, যা বাঙালি জাতিসত্তার উদ্ভব ও বিকাশের প্রক্রিয়ায় অতিক্রম করেছে বহু আগে। ফলে এই গোষ্ঠী প্রকৃতই আধুনিক সমাজের বা সিভিল সোসাইটির অংশ হতে পারে না।
এই দুটি হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও নেপথ্য কুশীলব এবং আজ পর্যন্ত ওই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাওয়া গোষ্ঠীর যুক্তি খণ্ডন করা নয়, বরং অন্যায়ের সাফাই গাওয়াও যে অপরাধ, কখনো কখনো তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তা সব দায়িত্বশীল মহলকে বিশেষত রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রের আইন ও বিচার বিভাগকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া বর্তমানের একটি জরুরি দায়িত্ব।
প্রাথমিকভাবে এমনটি মনে করা হয়েছিল, সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের অপকর্ম এটি। কিন্তু চলমান ধারণার সুতা ধরে পথ চলতে গিয়ে মিলেছে বিশাল ষড়যন্ত্রের নকশা। দৃশ্যমান ঘাতকদের নেপথ্যে দেখা যাচ্ছে অনেক চরিত্রের সমাবেশ। এমনকি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অনেক খলনায়কদেরও দেখা মিলছে।
আরও পড়ুন >>> বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন
যারা ঘাতক, যাদের বিচার হয়েছে, যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ঠিকুজি তো এখন সবার জানা। কিছু প্রমাণিত তথ্য জানান দিচ্ছে আরও অনেক চরিত্রের। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান খুনিদের বিচারকাজের সব প্রমাণিত দলিল, প্রকাশ্য সাক্ষ্য, নথিভুক্ত প্রামাণ্য নতুন চরিত্রের চেহারা উন্মোচন করছে।
হত্যাকাণ্ডের সময়ের পরিস্থিতি একেবারে কাছ থেকে দেখেছেন এমন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য, নানা আন্তর্জাতিক সূত্রের তথ্য, দেশে বিদেশে নানা সংবাদমাধ্যমে খুনিদের সদম্ভে দেওয়া সাক্ষাৎকার, দেশি-বিদেশি অনেক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের তথ্য এখন নিশ্চিত করছে আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিছক কয়েকজন সেনা সদস্যের হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিল না। বিষয়টি ছিল খুবই সুপরিকল্পিত।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সময় এবং ঘটনার আগে ও পরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা এবং হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীদের (বেনেফিশিয়ারি) দিকে তাকালে দেখা যাবে এই ষড়যন্ত্রের সুতা কতটা বিস্তৃত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে কার বা কাদের কী ভূমিকা ছিল, চিহ্নিত অপরাধীদের কারা, কীভাবে পুনর্বাসন করল, তাদের আইনি সুরক্ষা দিল এবং এমন এক বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য করার জন্য সাংস্কৃতিকভাবে কারা কী করেছে সেই বিষয়টির নিবিড় অনুসন্ধান এবং দায় নিরূপণ এখন সময়ের দাবি।
....দেশে বিদেশে নানা সংবাদমাধ্যমে খুনিদের সদম্ভে দেওয়া সাক্ষাৎকার, দেশি-বিদেশি অনেক সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের তথ্য এখন নিশ্চিত করছে আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিছক কয়েকজন সেনা সদস্যের হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিল না।
বর্তমানকেই এই দায় নিতে হবে। এই নেপথ্য চরিত্রগুলোর অনেকেই রাষ্ট্রের অনেক বড় পদে আসীন হয়েছেন, ইতিহাসকেও ইচ্ছেমতো তৈরি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইতিহাসের সত্য বড়ই নির্মম ও শক্তিশালী। কোনো কারণে সেই সত্যকে হয়তো কিছু সময় চাপা দিয়ে রাখা যায়, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেই সত্য কোনো না কোনো সময় উচ্চকণ্ঠেই কথা বলে।
আরও পড়ুন >>> রাজনৈতিক সম্প্রীতির দেশ!
বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার বিচারকালে আইনজীবী সিরাজুল হক এই হত্যাকাণ্ডের 'কন্সপিরেটর (Conspirator)' হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং 'ইন্সপিরেটর (Inspirator)' হিসেবে জিয়াউর রহমানকে চিহ্নিত করেছেন। বিশ্লেষণ বলে, কারও মদদ ছাড়া ষড়যন্ত্র ভিত পায় না। কাজেই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে 'কন্সপিরেটর' ও 'ইন্সপিরেটর' এর যৌথ উদ্যোগেই। এখানে কারও দায় কম নয়।
আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা, দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই বাবা-মা-ভাই-ভ্রাতৃবধূ হত্যার বিচার চেয়েছেন।
কোনো বিশেষ আইন নয়, দেশের প্রচলিত আইনেই বিচারটি হয়েছে। কিন্তু বিচার হয়েছে খুনের এবং খুনিদের, হত্যার ও ষড়যন্ত্রের বিচার এখনো বাকি। যেকোনো খুন কোনো ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়াতেও হতে পারে কিন্তু একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পরিকল্পনা লাগে, দৃশ্যমান দুর্বৃত্ত ছাড়াও অনেক নেপথ্য কুশীলব লাগে।
বর্তমানে যারা এই দায়িত্ব পালনে প্রকৃতই আন্তরিক ও আগ্রহী তাদের জন্য দুইটি সূত্র উল্লেখ করি।
প্রথম সূত্র : পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকালে রেডিওতে খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভাষণের প্রস্তুতি চলছিল তখন তিনি খসড়াটি দেখিয়েছিলেন সেনা প্রধানকে। সেনা প্রধান খসড়াটি দেখে বলেছিলেন ভাষণটি খুব ভালো হয়েছে। মুচকি হেসে মোশতাক বলেছিল, আপনার কি ধারণা ভাষণটি কয়েকদিন আগে লেখা হয়েছে? [সূত্র : হু কিলড মুজিব / এ, এল, খতিব]। মানে, এই ভাষণটি অনেক আগে লেখা হয়েছে। যে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে, এই ভাষণের খসড়াটি কবে থেকে লেখা শুরু হয়েছে? কারণ, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তখন থেকেই।
দ্বিতীয় সূত্র : ১৯৭৫ সালের মে বা জুনের প্রথম দিকে ঢাকার গাজীপুরের সালনা হাইস্কুলে ঢাকা বিভাগীয় স্বনির্ভর সম্মেলনে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে দেখা করেন। এই সময় মোশতাক তাদের জিজ্ঞাসা করেন পরিকল্পনা কেমন চলছে? জবাবে সেনা কর্মকর্তারা বলেন, আমরা ঠিক আছি, 'বস' সব পরিকল্পনা করছে। যে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে, এই 'বস'টি কে? কারণ, দূরবর্তী অবস্থানে নিরাপদে থেকে এই 'বস' সব কলকাঠি নেড়েছে, সব সুবিধা ভোগ করেছে। এই 'বস'-এর স্ত্রী-পুত্ররাও এই সুবিধা ভোগ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন >>> বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সত্যিই বেদনাদায়ক
এই দুই প্রশ্নের জবাব অনুসন্ধানেই পাওয়া যাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের ভয়াবহ চেহারা। বেরিয়ে আসবে নতুন অনেক চরিত্র এবং তাদের তৎপরতা। এদের মধ্যে বেসামরিক, রাজনীতিক এবং বিদেশি কূটনীতিকরাও ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে—হত্যার ক্ষেত্রে আসামিদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে আসামির উপস্থিতি প্রমাণেরও দরকার নেই।
দূর থেকে হুকুম দিয়েও কাজ করা যায়। খুনি, পরিকল্পনাকারী, ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী, দূর থেকে মদদদাতা এদের সবার অভিন্ন ইচ্ছার মিল থাকলেই ষড়যন্ত্র সফল হয়। তারা সবাই একই দোষে দোষী।
বর্তমানের দায়িত্ব হচ্ছে, এই নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করে তাদের দায় নিরূপণ করা। এই দায়িত্ব ইতিহাস অর্পিত। এই দায় এড়িয়ে গেলে ভবিষ্যৎ আমাদের ক্ষমা করবে না।
মনজুরুল আহসান বুলবুল ।। সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)