সাংবাদিকতাও অন্যান্য পেশার মতোই এবং সংবাদ নেহায়েত পণ্য
এক
স্বাধীন গণমাধ্যম কি কেবলই একটা কল্পনা? বহুদিনের প্রশ্ন এটা। তবে আজকাল বেশ জোরেশোরে হচ্ছে। এটা আলোচনা নাকি কিংবা বিতর্ক—তবে আলোচনা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। প্রতিদিন টেলিভিশনে রাজনৈতিক বিতর্ক শুনতে শুনতে সবাই ক্লান্ত। যেহেতু আলোচনা কেবল, পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি সাজানোর দায় নেই। আলোচনার এটা একটা সুবিধা।
সংবাদ, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম নিয়ে এত এত বাগাড়ম্বরের কারণ কী? আখেরে তো সংবাদমাধ্যম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বৈ অন্য কিছু নয়, সাংবাদিকতাও অন্যান্য পেশার মতোই এবং সংবাদ নেহায়েত পণ্য।
বৈধ সকল পেশা নৈতিকতা মেনেই চলে, দায়িত্বশীলতা বজায় রেখেই মুনাফা কামায়। তার জন্য অন্য পেশাজীবীদের কপালে মহত্ত্বের তিলক এঁকে দেওয়া হয় বলে তো আজ পর্যন্ত শুনিনি।
অন্য কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তো আলাদা করে নৈতিকতা কিংবা দায়িত্বশীলতা নিয়ে ঢোল পেটায় না। নিজের পেশাকে মহত্তম বলে গলা উঁচায় না। সাংবাদিকতার বেলায় তাহলে ব্যতিক্রম ঘটে কেন?
আরও পড়ুন >>> সাংবাদিক যখন নির্যাতনের শিকার
এসব ঘটে একটাই কারণে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত মালিক-কর্মচারীরা তাদের ব্যবসার সঙ্গে স্বাধীনতা চান। আইনগতভাবে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে চান। এই ‘স্বাধীনতা’ না পেলে তাদের বাজার পড়ে যাবে।
প্রশ্ন হলো—এই বিশেষ পেশাজীবীদের সকলেই কি ‘স্বাধীনতা’ চান? আদতেই না। এই পেশাজীবীদের মধ্য বাগবিতণ্ডা থেকেই তার উত্তর পাওয়া যাবে। এদের মধ্যে দলাদলি আছে, কোলাকোলি আছে, তুমুল মাত্রায় আছে। এই দলাদলি আজকের নয়। এই পেশার সূচনালগ্নের।
দুই
গণমাধ্যমগুলো যে খবর দিচ্ছে, যে মতপ্রকাশ করছে, সেগুলো বিভিন্নভাবে ফিল্টার হয়। কিন্তু এর মধ্যে দুটো ফিল্টার গুরুত্বপূর্ণ—গণমাধ্যমগুলোর আদর্শিক অবস্থান এবং কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এগুলো চালু থাকছে। গণমাধ্যমের মালিক কে বা কারা, সেটা একটা বড় বিষয়। কিন্তু এখানে বিরাজমান রাষ্ট্র-সমাজ-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক।
গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোচনায় এটাও উঠে আসে যে রাষ্ট্র আইনকানুন করে কনটেন্টের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে; আবার কখনো কখনো সেটার দরকার হয় না। কেননা, গণমাধ্যমের মালিক বা পরিচালকেরাই এমন সিদ্ধান্ত নেন, যা ওই আইনের মাধ্যমে অর্জনের চেষ্টা করা হয়।
গণমাধ্যমের জনগণের মাধ্যম হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে জটিল বিষয়টি উপস্থিত থাকে, তা হচ্ছে পুঁজি, মালিকানার ধরণ এবং রাষ্ট্রের জটিল সম্পর্ক; সেটাই নির্ধারণ করে গণমাধ্যম কার কথা বলবে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যেই এই সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
আরও পড়ুন >>> গণমাধ্যম আইন : নিশ্চিত হোক মর্যাদা, অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা
১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত গ্লাসগো মিডিয়া স্কুলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়—ব্যাড নিউজ, মোর ব্যাড নিউজ ও রিয়েলি ব্যাড নিউজ। এসব বইয়ে গবেষকেরা দেখিয়েছেন, ব্রিটেনের টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে পক্ষপাতিত্ব কতটা স্পষ্ট, মিডিয়া খনিশ্রমিকদের আন্দোলনের সময় সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। এই ধরনের গবেষণা প্রমাণ করে যে গণমাধ্যম সবসময়ই যে জনসাধারণের সব কথাই বলে, তা নয়।
গণমাধ্যম কি কেবল সেইসব খবরই প্রকাশ করে, যা পুঁজি ও পুঁজিমালিকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট? না, তা নয়। গণমাধ্যমকে প্রাসঙ্গিক, বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য থাকতে হয় অন্তত পক্ষে দুটো কারণে—প্রথমত, এই আর্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেন অব্যাহত রাখা যায়, তার জন্য মানসিক অবস্থা তৈরি করা; যাতে বিরাজমান ব্যবস্থাকে গ্রহণযোগ্য মনে হয়। এই ব্যবস্থার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বার্থ যুক্ত।
দ্বিতীয়ত, একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শের দ্বারা পরিচালিত গণমাধ্যম, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দেওয়া, তারা ব্যতিক্রম।
তিন
আজ সারা বিশ্বে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস—ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে পালিত হচ্ছে, তখন বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের ওপর চাপ ও ভয়ভীতি আমাদের যারপরনাই উদ্বিগ্ন করে। ২০২২ সালে কমপক্ষে ৬৭ জন মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন—যা আগের বছরের তুলনায় অবিশ্বাস্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় তিন চতুর্থাংশ নারী সাংবাদিক অনলাইনে সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং চারজনের একজনকে শারীরিকভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বেই গণমাধ্যমের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। আর যেসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৫৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা, হুমকি ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন >>> বায়াস, বুলশিট, লাই : আস্থার সংকটে সংবাদমাধ্যম
প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে—জোরপূর্বক অপহরণ ও নিখোঁজ, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
আর বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিনের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে তিন বছরে ২০০-র বেশি সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার শিকার হয়েছেন। এসব মামলায় অর্ধশত সাংবাদিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ ও হিসাব-নিকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা—এই শতকে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। একইসঙ্গে আছে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা এবং নজরদারিও।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৩ সালে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অধিকারের ভবিষ্যৎ গঠন: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব ধরনের মানবাধিকারের চালিকাশক্তি’ (Shaping a Future of Rights: Freedom of expression as a driver for all other human rights)। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
দুনিয়া জোড়া তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে সাংবাদিকদের প্রতি নিপীড়ন চলে আসছে বছরের পর বছর। এই বছর দেশে দেশে সাংবাদিকদের নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, গণমাধ্যম শিল্প কিছু ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত হওয়া এবং গণমাধ্যমে আর্থিক বিষয়াদি এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইনের বিষয়েও।
কণ্ঠ রোধ করার বিষয়টি অনেক পুরোনো বিষয়। যখন ঔপনিবেশিক শাসনে ছিলাম, যখন স্বাধীন হইনি, পরাধীন ছিলাম, তখনো এগুলো দেখেছি। প্রশ্ন হলো—কী কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জরুরি। প্রবল শক্তিশালীর বিরুদ্ধে লড়াই করার হাতিয়ার হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও পড়ুন >>> অনলাইন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ
এটি সব পক্ষকে দায়িত্বশীল করে, ধর্মীয়-জাতিগত চিন্তা কিংবা লৈঙ্গিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সমানাধিকার নিশ্চিত করে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে একটি অধিকতর ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর্টিকেল ১৯—এর মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত। তাই অন্যান্য মানবাধিকার রক্ষার জন্য এই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের কেন্দ্রীয় শক্তি।
চার
সাংবাদিকতাকে পেশা ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং সাংবাদিককে ব্যক্তি হিসেবে যাদের বিষয়ে সংবাদ বা সম্পাদকীয় প্রকাশ করবে, তাদের থেকে স্বাধীন থাকতে হবে; কেবল তবেই গণমাধ্যম ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
যাদের ওপরে নজরদারি করার কথা, সেই ক্ষমতাসীনদের অংশ হয়ে কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় শরিক হয়ে নজরদারি করা অসম্ভব। বরং এটাই স্বাভাবিক যে এই গণমাধ্যমগুলো সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে মালিকদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক স্বার্থের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে এটা বোঝা দুরূহ নয়, কেন দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব গণমাধ্যমই তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। এজন্য কেবল কে মালিক সেটা দেখাই যথেষ্ট নয়, নজর দিতে হবে লুটেরা অর্থনীতির বিকাশের নীতি এবং জবাবদিহিহীন রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার দিকে—যেগুলো এই ধরনের গণমাধ্যম ব্যবস্থা তৈরি করেছে।
গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা সারা পৃথিবীতেই এখন বিপদের মুখোমুখি। তবে বাংলাদেশের চিত্রটা একটু ভিন্ন। এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা দুই-ই এখন এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তাকে উদ্বেগজনক বললে সামান্যই বলা হয়।
আরও পড়ুন >>> গণমাধ্যম ততটাই সাহসী, যতটা তার সম্পাদক
গণমাধ্যমের এই অবস্থার প্রভাব যে এই পেশার মধ্যে সীমিত আছে তা নয়, বরং তার পরিণতি ক্রমাগতভাবে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বে টান পড়তে দেখা যাচ্ছে।
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গণতন্ত্র যেখানে দুর্বল, সেখানে স্বাধীন গণমাধ্যমের চিন্তা অধরাই। স্বাধীন সাংবাদিকতা না থাকলে গণমাধ্যম টেকে না। বাংলাদেশে গণমাধ্যম অনেকদিন ধরেই প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে। অনেকে দাবি করবেন দৃশ্যত কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখানে গণমাধ্যমগুলো নিজেরাই সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত চোখরাঙানির মুখোমুখি। কড়া মনিটরিং, ভয়ভীতি, প্রশাসনিক চাপ, বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যবহার করে অর্থনৈতিক চাপে রাখার অপচেষ্টা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ও সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে শৃঙ্খলিত গণমাধ্যমের চিত্রই ফুটে ওঠে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো পুলিশ, কখনো সরকারি দলের কর্মী আবার কখনো সমাজের পেশিশক্তি ও দুর্বৃত্তচক্রের হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা।
বিচারহীনতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনাগুলো বাংলাদেশে গণমাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। সরকারকে অনুধাবন করতে হবে গণমাধ্যম সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, বরং পরিপূরক ও সহায়ক।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে অনিয়ম, অনাচার ঘটে, তা গণমাধ্যমের বরাতেই সরকারের নজরে আসে বলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। কাজেই নিয়ন্ত্রিত নয়, মুক্ত সাংবাদিকতাই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রত্যাশা—সব ধরনের কালাকানুন, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাধা ও হুমকির অবসান।
তথ্যঋণ:
গণমাধ্যমের কে মালিক, কীভাবে মালিক; আলী রীয়াজ; যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো; প্রথম আলো; ২৩ মে ২০২১
হাবীব ইমন ।। সাংবাদিক