এক দশকে বেইজিংয়ের বায়ুর মানে নাটকীয় পরিবর্তন
দশ বছর আগে যখন আমি প্রথম বেইজিংয়ের মাটিতে পা রাখি, তখন এই মেগাসিটির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ছিল আশঙ্কাজনক। ২০১২ সালের কথা। পরের বছর থেকেই স্থানীয় সরকার ঘণ্টায় ঘণ্টায় বায়ুদূষণ সূচক প্রকাশ করা শুরু করে।
প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ‘পিএম-২.৫’ (PM2.5)-এর পরিমাণ জানতে তখন প্রতিদিন অন্তত একবার স্মার্টফোনের সংশ্লিষ্ট অ্যাপের শরণাপন্ন হতাম। এই সূচকের ওপর নির্ভর করতো নির্দিষ্ট দিনে আমাদের মাস্ক পরা বা না-পরার বিষয়টি। সাধারণ মাস্ক নয়, এন-৯৫ মাস্ক পরতে হতো। আমি ‘জানালাওয়ালা’ মাস্ক পরতাম। শ্বাস ফেললে তা মাস্কের ছোট্ট ‘জানালা’ দিয়ে বেরিয়ে যেত, শ্বাস নিলে সেটি আবার দ্রুত বন্ধ হয়ে যেত। আর গোটা মাস্কটি আটকে দিত অধিকাংশ পিএম-২.৫ বস্তুকণা।
পিএম (PM) হচ্ছে বস্তুকণা (particulate matter)। এগুলো মাইক্রোস্কোপিক; মানে, মাইক্রোস্কোপ ছাড়া খালি চোখে দেখা যায় না। এগুলো কঠিন বা তরল—দুই আকৃতিতেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। এর মধ্যে পিএম-২.৫ হচ্ছে ‘সূক্ষ্ম কণা’ (fine particles), আর পিএম-১০ ‘মোটা কণা’ (coarse particles)।
নামে ‘মোটা কণা’ হলেও, বাস্তবে কিন্তু পিএম-১০ কণার ব্যস মাত্র ১০ মাইক্রোমিটার (এক মাইক্রোমিটার হচ্ছে এক মিটারের দশ লক্ষ ভাগের এক ভাগ)। এই কণা বাতাসে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে। এগুলোও বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, তবে ততটা মারাত্মক নয়।
আরও পড়ুন : কেন বারবার দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে?
বায়ুতে যেসব কণার উপস্থিতি মানুষের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর, সেগুলোর ব্যস ২.৫ মাইক্রোমিটার বা তারচেয়ে কম। এই কণাগুলোই পিএম-২.৫ নামে পরিচিত। এসব কণা বেশি পরিমাণে থাকলে বায়ু ঝাপসা বা ঘোলাটে হয়; দৃশ্যমানতা কমে। এই ঘোলাটে ভাবের বইয়ের নামও আছে, ধোঁয়াশা। এই ধোঁয়াশা শুধু পিএম-২.৫ একা সৃষ্টি করে না; এখানে আরও অনেক কালপ্রিট উপাদান রয়েছে। তবে কি না, পিএম-২.৫ এগুলোর মধ্যে সবেচয়ে বেশি ক্ষতিকর।
পৃথিবীর বায়ুতে বলতে গেলে সবসময়ই পিএম-২.৫ থাকে। বিপদ ঘটে যখন এর পরিমাণ গ্রহণযোগ্য মাত্রা অতিক্রম করে। প্রশ্ন হচ্ছে, গ্রহণযোগ্য মাত্রা কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে যদি শূন্য থেকে ১০ মাইক্রোগ্রাম (এক মাইক্রোগ্রাম হচ্ছে এক গ্রামের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ) পিএম-২.৫ থাকে, তবে তা গ্রহণযোগ্য; এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে পিএম-২.৫ যদি ২৫ থেকে ৫০ মাইক্রোগ্রাম হয়, তবে বিপজ্জনক; এবং যদি ৭৫ থেকে ৮০০ মাইক্রোগ্রাম হয়, তবে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, অধিকাংশ মানুষের জন্য প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ৩৫.৪ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত পিএম-২.৫ গ্রহণযোগ্য। অবশ্য, যাদের বয়স বেশি বা যারা ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটুকুও বিপজ্জনক।
পিএম-২.৫ কেন এত বিপজ্জনক? এই কণা কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে; দ্রুত ছড়াতে পারে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। এসব কণা বাতাসের সাথে মানুষের ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে; এমনকি, এগুলো রক্তের সঙ্গেও মিশে যেতে পারে। ফলে, মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের শিকার হতে পারে এবং হয়ও।
আরও পড়ুন : পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের ভূমিকা কী?
এক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৬ সালে, পিএম-২.৫-এর কারণে বিশ্বে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে, মারা গিয়েছিলেন।
শুরুতে বলেছি, ১০ বছর আগে বেইজিংয়ের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ছিল রীতিমতো ভয়াবহ। ২০১৩ সালে মাত্র ১৭৬ দিন বেইজিংবাসী ভালো বা মোটামুটি ভালো বায়ুতে শ্বাস নিতে পেরেছিল। বাকি ১৮৯ দিন এই মেগাসিটির বায়ু ছিল দূষিত। এর মধ্যে ৫৮ দিনের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ছিল খুবই মারাত্মক। সেই সব দিনের কথা স্পষ্ট মনে আছে। কারণ, বায়ুদূষণের ফলে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে তখন চিন্তায় থাকতে হতো।
বোনাস কারণ হিসেবে ছিল, এন নাইটি ফাইভ (এন-৯৫) মাস্কের পেছনে অর্থব্যয়। সৌভাগ্যের বিষয়, দশ বছরে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। সর্বশেষ কবে এন-৯৫ মাস্ক কিনেছি, মনে পড়ে না!
ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগে বেইজিংয়ের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। তখন দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে নিয়মিত বিরতিতে রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসতো বালু ঝড় (তেমন এক-দুটি ঝড় আমিও দেখেছি)। তখন ঘর থেকে বের হওয়াও ছিল প্রায় অসম্ভব কাজ। পাশাপাশি, যুক্ত হয়েছিল বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা থেকে ভেসে আসা ক্ষতিকর গ্যাস ও কালো ধোঁয়া। আর রাস্তায় চলাচলকারী লক্ষ লক্ষ যানবাহন তো ছিলই।
এক হিসাব অনুসারে, বর্তমানে বেইজিংয়ের রাস্তায় প্রায় সাড়ে ৬৫ লাখ যানবাহন চলাচল করছে। ৩৫ লাখ বাসিন্দা অপেক্ষায় আছেন তাদের নিজেদের নতুন গাড়ির নম্বর প্লেটের জন্য। তবে, বেইজিংয়ের রাস্তায় এখন যেসব যানবাহন চলছে, সেগুলোর একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নতুন জ্বালানি তথা দূষণ মুক্ত জ্বালানিতে চলে। দশ বছরে বেইজিংয়ের বায়ুর মান উন্নত হওয়ার পেছনে যেসব কারণ কাজ করেছে, সেগুলোর মধ্যে এটি একটি।
আরও পড়ুন : বিশ্ব পরিবেশ দিবস : আমাদের ব্যর্থতা ও করণীয়
দশ বছর আগে স্থানীয় সরকার বেইজিংয়ের বায়ুর মান উন্নত করার একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নেয়। তখন অনেকেই এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও সাফল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তাদেরকে দোষ দেওয়া যায় না। কীভাবে এত দ্রুত বেইজিংয়ের মতো একটি মেগাসিটি ও রাজধানী শহরের বায়ু দূষণ মুক্ত করা সম্ভব?
উন্নত দেশগুলো এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দশকের পর দশক সময় নিতে হয়েছে; সেখানে বেইজিং কীভাবে মাত্র এক দশকে সেই লক্ষ্য অর্জন করবে? এমন বিস্ময় মাখা প্রশ্ন আমার মনেও উঁকি দিয়েছিল বৈকি! কিন্তু বেইজিং পেরেছে; মাত্র এক দশকেই সেই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে পেরেছে?
বালু ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেইজিং রেহাই পেয়েছিল আগেই। শহরের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে বালু ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়েছিল। তখন কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়। এর সুফল আজও ভোগ করছে বেইজিং। তবে, বালু ঝড় কমলেও, শীতে হিটিংয়ের ব্যবস্থা চালু রাখতে ও বিদ্যুতের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে, তখনো ব্যাপকভাবে কয়লার ব্যবহার ছিল।
রান্নার কাজেও ব্যাপকভাবে কয়লার ব্যবহার হতো। কিন্তু ২০১৩ সালের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। এখন আর বেইজিং ও এর আশেপাশের এলাকায় আবাসিক এলাকায় কয়লার ব্যবহার হয় না। কয়লার স্থান দখল করে নিয়েছে গ্যাস ও ইলেক্ট্রিসিটি।
আরও পড়ুন : জলবায়ু পরিবর্তন : ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা কি সক্ষম?
অনেকেই জানেন, রাজধানী বেইজিংকে ঘিরে আছে হুপেই প্রদেশ। অন্যভাবে বললে, বেইজিং রীতিমতো হুপেইয়ের পেটের মধ্যে অবস্থিত। এই হুপেই একসময় লোহা ও ইস্পাতের জন্য বিখ্যাত ছিল। তখন এই একটিমাত্র প্রদেশে বছরে যত লোহা ও ইস্পাত উৎপাদিত হতো, তা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ ভারতের মোট উৎপাদনের চেয়ে ছিল বেশি। কিন্তু দূষণ কমাতে চীন ইস্পাতের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। হুপেই প্রদেশের অনেক ইস্পাতের কারখানা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। আর হুপেইয়ের দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি মানে, বেইজিংয়ের উন্নতি।
একসময় বেইজিংয়েও লোহা ও ইস্পাতের বহু কারখানা ছিল; ছিল বায়ুদূষণের জন্য দায়ী অন্যান্য কল-কারাখানাও। সেগুলোর বেশিরভাগই ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের আগে শহরের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়। আরও পরে, ২০১১ সালে, বেইজিং ‘যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা’ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে। এই নীতিমালার আওতায় ওই বছর মাত্র ২ লাখ ৪০ হাজার নতুন গাড়ির নম্বর প্লেট ইস্যু করা হয়।
সেই থেকে এই সংখ্যা প্রতিবছরই কমছে। চলতি বছর তথা ২০২২ সালে এসে মাত্র এক লাখ নতুন নম্বর প্লেট ইস্যুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই বরাদ্দ রাখা হয়েছে দূষণ মুক্ত নতুন জ্বালানি চালিত গাড়ির জন্য।
আসলে শুধু বেইজিংয়ে নয়, এর আশেপাশে বিভিন্ন প্রদেশেও বায়ুদূষণ কমানোর উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হয় ও হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ শানসি প্রদেশের কথা ধরা যাক, এক দশকে এই প্রদেশের শত শত কয়লাখনি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে শীতকালে হিটিংয়ের জন্য কয়লার পরিবর্তে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ উত্পাদনের জন্য কয়লার পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে পরিষ্কার জ্বালানি।
আরও পড়ুন : উন্নয়ন গ্রাস করছে প্রকৃতি
আমি বেইজিংয়ে বাস করছি এক দশক ধরে। আমার চোখের সামনেই এই শহরের বায়ুর মান ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে ও হচ্ছে। এই উন্নতির সুফল ভোগ করছে আমার বাংলাদেশি ফুসফুসও। আগে প্রায়ই বেইজিংয়ের মানুষ ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন শহরের আলোকচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেন স্যাড ইমোর সঙ্গে।
আজকাল উল্টোটা ঘটছে। লোকজন পরিষ্কার নীল আকাশের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাসমান সাদা মেঘের ছবি তুলে হাসির ইমোসহ পোস্ট করছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুসারে, বেইজিংয়ের মানুষ বায়ুর মান উন্নত হওয়ায় খুশি।
পরিসংখ্যান অনুসারেও বেইজিংয়ের বায়ুর মান অনেক উন্নত হয়েছে। ২০২১ সালে বেইজিংয়ের মানুষ মোট ২৮৮ দিন ভালো বা মোটামুটি ভালো বায়ুতে শ্বাস নিতে পেরেছেন। ২০২০ সালে এমন দিনের সংখ্যা ছিল ২৭৬। চলতি বছর এমন দিনের সংখ্যা গতবছরের চেয়ে বেশি হবে, এমন আশা করা বাতুলতা নয় মোটেই।
লেখার শুরুতে পিএম-২.৫ সম্পর্কে বলেছি। নয় বছরে বেইজিংয়ের বায়ুতে এই মারাত্মক ক্ষতিকর মাইক্রোস্কপিক বস্তুকণার পরিমাণ কমেছে ৬৩ শতাংশ; প্রতিবছর গড়ে কমেছে ৭.৯ শতাংশ করে। জাতিসংঘের আবহাওয়া কর্মসূচি (UN Environment Program) বেইজিংয়ের এই অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
আরও পড়ুন : বায়ু দূষণের শীর্ষে বাংলাদেশ : করণীয় কী?
বলা বাহুল্য, মাত্র নয় বছরে বেইজিংয়ের বায়ুর মান নাটকীয়ভাবে উন্নতির পেছনে কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিবেশবান্ধব নীতিমালা ও সেই সবের যথাযথ বাস্তবায়ন। এক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সাথে আশেপাশের প্রদেশগুলোর নীতিমালা সমন্বয়ও করতে হয়েছে। কারণ, বেইজিংয়ের পক্ষে একা একা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব ছিল না। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের আশীর্বাদ তো ছিলই।
এতকিছুর পরও কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, রাজধানী বেইজিংয়ের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এখনও নাজুক। এক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের সুযোগ আছে। তাদের কথা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। ২০২১ সালে ২৮৮ দিন দূষণ মুক্ত ছিল মানে ৭৭ দিন ছিল দূষণ যুক্ত।
অন্যভাবে বললে, দুই মাসেরও বেশি সময় রাজধানীর বাসিন্দাদের দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিতে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ উপেক্ষা করার উপায় নেই। আশার কথা, কর্তৃপক্ষ তা করছেও না। জাতি হিসেবে চীন ২০৬০ সালের মধ্যে ‘কার্বন-নিরপেক্ষতা’ অর্জনের লক্ষ্য স্থির করেছে।
আর চীন যখন কোনো লক্ষ্য স্থির করে, তখন সেটি অর্জন করে তবে ছাড়ে। ‘কার্বন-নিরপেক্ষতা’ অর্জনের প্রক্রিয়ায় রাজধানী বেইজিংয়ের বায়ু অনেক আগেই সম্পূর্ণভাবে দূষণ মুক্ত হবে—এমন আশা করা যেতেই পারে।
আলিমুল হক ।। বার্তা সম্পাদক, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)