শান্তিরক্ষা মিশনে আরও নারী সদস্য পাঠাতে চায় বাংলাদেশ
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এক হাজার ৯০০ নারী সদস্য পাঠিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আরও বেশি সংখ্যক নারী সদস্য সেখানে পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজ্যুলেশন ১৩২৫ এর ২০ বছর উদযাপন: নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, শান্তিরক্ষা মিশনে শতকরা ১৫ শতাংশ নারী সদস্য পাঠানোর নিয়ম। বাংলাদেশ এই কঠিন কাজে পুরুষের সঙ্গে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। আমরা শান্তিরক্ষা মিশনে ১ হাজার ৯০০ নারী সদস্য পাঠিয়েছে।’
বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত নারীদের সংখ্যা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশি নারীরা অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেখানে ১৩৯ জন নারী সামরিক কর্মকর্তা, ১৮৩ জন নারী পুলিশ সদস্য এবং সংস্থাটির জুডিশিয়াল কর্মকর্তা হিসেবে ৪ জন নারী বিচারক হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন।’
এ সময় মোমেন আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘের নেতৃত্ব পর্যায়ে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। দেশে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরেন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে অনবদ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সময়ে রাজনৈতিক থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যাওয়ার ভূমিকায় নারীদের জাতীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে।’ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের নারীদের নেতৃত্বে আসার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে বলে বক্তব্যে যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, ঢাকায় জাতিসংঘের নারী বিষয়ক দূত সোকো ইসিকাওয়া, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান বক্তব্য দেন।
এনআই/জেডএস