‘প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিতে হবে’ আদেশ বাস্তবায়নসহ ৬ দাবি

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জনবলের চাকরি প্রকল্প শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২০০৯ সালের মার্চ মাসের ২২ তারিখে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প থেকে জনবল রাজস্ব খাতে দেওয়ার আদেশ বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ফরিদ হোসেন।
অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— বৈষম্যমূলক নীতিমালা বাতিল করে সব উন্নয়ন প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। যেসব সমাপ্ত প্রকল্পের জনবলের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য মামলা চলমান, তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে; প্রকল্প গ্রহণের সময় ডিপিপিতে প্রকল্প শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হবে উল্লেখ করে সব সরকারি দপ্তরে রাজস্ব খাতের শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকল্পে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে; প্রকল্পে নিয়োগের সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেল, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে হবে ও প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরির ধারাবাহিকতা থাকবে। এতে যদি কেউ উচ্চতর গ্রেড, পদোন্নতি, বকেয়া বেতন ও ভাতা প্রাপ্ত হন, তবে তা দিতে হবে।
এছাড়া, প্রকল্প গ্রহণের সময় আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বন্ধ করে সরাসরি নিয়োগ পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেসব কর্মচারী পাঁচ বছর বা এর বেশি সময় ধরে মাস্টাররোল আউটসোর্সিং ভিত্তিতে কর্মরত আছেন তাদের রাজস্ব খাতের শূন্যপদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে; যেসব প্রকল্পে ‘সর্বসাকুল্যে বেতন’ পদ্ধতি ও ‘আয় থেকে দায়’ পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা বিদ্যমান রয়েছে তা পরিবর্তন করে ‘নিয়মিত বেতন-ভাতা’ ও ‘জাতীয় বেতন স্কেলে’ বেতন ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম, মো. মতিয়ার ইসলাম, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এমএইচএস