সাত দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৬৯২টি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এবারের একুশে বইমেলা। এখন পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে প্রায় ৭০০টি। সোমবার বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
মেলার সপ্তম দিনে নতুন বই এসেছে ২২৪টি। শুরু থেকে এ সময়ে মোট এসেছে এসেছে নতুন ৬৯২টি বই। প্রথম দিন কোনো নতুন বই না এলেও দ্বিতীয় দিনে ১৮টি, তৃতীয় দিনে ৪১টি, চতুর্থ দিনে ১৭৭টি, পঞ্চম দিনে ১৪৩টি, ষষ্ঠ দিনে ৮৯টি নতুন বই আসে।
মেলার সপ্তম দিনে ২২৪টি বইয়ের মধ্যে গল্প ২১, উপন্যাস ৪২, উপন্যাস ৭, কবিতা ৮১, গবেষণা ৪, ছড়া ২, শিশু সাহিত্য ৩, ইতিহাস ৬, জীবনী ৫, রচনাবলী ১, মুক্তিযুদ্ধ ৯, নাটক ১, বিজ্ঞান ৮, ভ্রমণ ৪, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৬ এবং অন্যান্য ২৪টি নতুন বই এসেছে।
বইমেলায় প্রকাশিত নতুন বইয়ের সংখ্যায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগামী প্রকাশনী, শ্রাবণ প্রকাশনী, অনিন্দ্য প্রকাশ, আদর্শ, কথাপ্রকাশ, মিজান পাবলিশার্স, শোভা প্রকাশ ও পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স এগিয়ে আছে।
সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বক্তৃতা ২০২২। এতে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ফিরে দেখা : আমাদের ভাষা আন্দোলন শীর্ষক অমর একুশে বক্তৃতা ২০২২ প্রদান করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
স্বাগত ভাষণে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, আমাদের একুশ এখন সারা বিশ্বের। একুশের সত্তর বছর আমাদের জাতিসত্তার উৎসমূলে নতুন করে দৃষ্টিপাত এবং ভাষা-সংস্কৃতি ও জাতিতাত্ত্বিক নিবিড় আত্মঅন্বেষায় উদ্বুদ্ধ করে।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, অমর একুশের সত্তর বছর পূর্তি বাঙালি জাতির জন্য পরম গৌরবের বিষয়। ভাষাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
এর আগে বিকেল ৩টায় মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় কবিকণ্ঠে একুশে কবিতাপাঠ। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন পঁচিশজন কবি। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সচিব কবি হাসানাত লোকমান। অমর একুশের সত্তর বছর পূর্তি স্মরণে এই মঞ্চে বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হয় শহিদ জহির রায়হান পরিচালিত ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’।
এইচআর/আরএইচ