সংবাদপত্রশিল্প করোনাকালেও কোনো সুবিধা পায়নি
দেড় বছর আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, এখন তা ৮৯০ ডলার। করোনাকালে বিজ্ঞাপনের বাজার ৫৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। সংবাদপত্রশিল্প সেবাশিল্প। তবে শিল্পটি রুগ্ণ। অথচ করোনাকালে এ শিল্প সরকারের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা পায়নি।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এসব বিষয় উঠে এসেছে আলোচনায়।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টাইমস মিডিয়া লিমিটেড ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় সংবাদপত্রশিল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় বাজেট সামনে রেখে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করে নোয়াব। ওই বৈঠকে রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হওয়া সংবাদপত্রশিল্প টিকিয়ে রাখতে কর কমানোসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে এনবিআরের কাছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে দাবি আদায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় নোয়াবের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। সভায় এ কে আজাদ সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হন। শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও প্রকাশক এম এ মালেক, ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, নিউএজ প্রকাশক ও সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম শহীদুল্লাহ খান, সংবাদ সম্পাদক ও প্রকাশক আলতামাশ কবির, ভোরের কাগজ পরিচালক তারিক সুজাত ও বণিক বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় নোয়াব সদস্য রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ বছর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেককে অভিনন্দন জানানো হয় সভায়।
পিএসডি/আইএসএইচ