বাংলাদেশিদের ভারত যেতে লাগবে না কোভিড টেস্ট, নেই কোয়ারেন্টাইন
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীর জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সংক্রমণ কমে আসায় সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া করোনার পূর্ণাঙ্গ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী যাত্রী আরটি-পিসিআর টেস্ট না করিয়েই দেশটিতে যেতে পারবেন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে ভারতীয় সিভিল এভিয়েশন। সম্প্রতি ভারতের নতুন এ বিধিনিষেধের বিষয়টি অবগত করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে চিঠিও দিয়েছে তারা। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এ দুইটি এয়ারলাইন্স ভারতের কোলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে যাত্রী পরিবহন করছে।
নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে ভারতে প্রবেশে বিদেশি যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না। তবে তাদের ১৪ দিনের সেলফ মনিটরিং করতে হবে। অর্থাৎ কারো শরীরে যদি করোনার লক্ষণ কিংবা উপসর্গ থাকে সে ক্ষেত্রে তাকে ‘এয়ারসুবিধা’ ওয়েবসাইটে গিয়ে বিষয়টি অবগত করতে হবে। এছাড়াও ভারতে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। তবে কোনো যাত্রী যদি করোনার পূর্ণাঙ্গ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার পিসিআর টেস্ট না করালেও চলবে। সে ক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বহন করতে হবে। ভারতের বিমানবন্দরে অবতরণের পর ২ শতাংশ যাত্রীকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করানো হতে পারে।
এছাড়াও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বা পিসিআর টেস্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৬ জন এবং এ ভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনের।
২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় মোট মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় শীর্ষস্থানে আছে ভারত।
এআর/এসকেডি