শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদান সম্পন্ন করে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ভয়াবহ সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকাদান সম্পন্ন করে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে সেভ দ্য চিলড্রেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর শিশুদের নিরাপদ রাখতে দীর্ঘ দেড় বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান বন্ধ ছিল। সংক্রমণ কমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে শ্রেণিকক্ষে ফিরে শিক্ষার্থীরা। প্রাণ ফিরে পেয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে তা স্থায়ী হয়নি। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় সরাসরি পাঠদান কার্যক্রম আবারও থমকে গেল। ১৮ মাস শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হয় শিশুরা। গৃহবন্দি জীবনে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পড়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে।
এতে আরও বলা হয়, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সবার সমান সুযোগ না থাকায় অনেক শিশু শিক্ষা কার্যক্রমে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। দরিদ্র ও সংকটে থাকা পরিবারের মেয়ে শিশুরা বাল্য বিবাহের শিকার হয়। মহামারির সংকটে পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় শিক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে শিশুদের অনেককে বাধ্য হতে হয় অর্থ উপার্জনে। বেড়ে যায় শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রাও। আমাদের পর্যবেক্ষণে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। তাই আবারও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশুরা একই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন মনে করে, শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্কুল বন্ধ না রেখে করোনার বাস্তবতা মেনে নিয়েই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উচিত। একইসঙ্গে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা কমিয়ে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার সরকারি উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উল্লেখিত বয়সসীমার সকল শিশুর টিকা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে শিশুরা আরও সুরক্ষিত হয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারে। তাই আমরা সকল শিশুর দ্রুত টিকা প্রদানের পাশাপাশি স্কুল খুলে দিয়ে সরাসরি পাঠদান শুরুরও আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএইচএন/এসকেডি