চমেকে ওষুধ চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) দুই কর্মচারীকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সরকারি ওষুধসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
তিনি বলেন, হাসপাতালের ওষুধ চুরির ঘটনায় সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শামীম আহসান বলেন, চুরির ঘটনায় চমেকের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন৷ পুলিশও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
এর আগে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার সরকারি ওষুধ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাসপাতালের গোল চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতার দুইজন হলেন- ২৬ নং ওয়ার্ডের সরকারি স্টাফ আশু চক্রবর্তী ও আউটসোর্সিং কর্মচারী মো. সৈয়দ।
সোমবার দুপুরে আউটসোর্সিং স্টাফ সৈয়দ আহমেদ একটি ব্যাগে নিয়ে ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের মূল ফটক দিয়ে বের হওয়ার সময় সন্দেহ হলে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আশু দৌড়ে পালানোর সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকেও গ্রেফতার করে। পরে ব্যাগ থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়। সেই ওষুধের মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। পরে আশুর বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ওষুধ পাওয়া গেছে। এসব ওষুধ হাসপাতালের রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা তা না করে চুরি করে নিয়ে হাসপাতালের আশে পাশের ফার্মেসিতে বিক্রি করে৷ এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কেএম/আইএসএইচ