বিস্তীর্ণ জমি বাংলাদেশকে কেন লিজ দিতে চায় দক্ষিণ সুদান?
পুরো বাংলাদেশের আয়তন যেখানে দেড় লাখ বর্গকিলোমিটারের কাছাকাছি, সেখানে ২০১১ সালে স্বাধীন হওয়া আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে পতিত জমির পরিমাণই ছয় লাখ বর্গকিলোমিটারের কাছাকাছি। এই বিপুল পরিমাণ জমি কার্যত কোনো কাজে আসছে না দেশটির। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই জমির কিছু অংশ লিজ নেওয়ার।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করে তার কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক।
দক্ষিণ সুদানের এ প্রস্তাব কাজে লাগানো যায় কি না বা কাজে লাগানো গেলেও তা কীভাবে সম্ভব সে সংক্রান্ত বিষয়ে ভেবে দেখছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞ একটি টিম সেখানে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিমে কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
পতিত ওই বিশাল জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে মূলত বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় দক্ষিণ সুদান। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকে বলেন, দক্ষিণ সুদানে ছয় লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমি পতিত পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না। এ বিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দেশের সরকারের মালিকানায় বা খাস জমি লিজ নিয়ে ফসল উৎপাদন নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অনেকেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাব আমরা। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হবে। বেসরকারি খাতের যারা বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের আমন্ত্রণ জানাব। শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে সরকারই উদ্যোগ নেবে।
কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করে দেং দাউ দেং মালেক বলেন, কৃষিখাতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রপ্তানিও করতে চাই।
এসএইচআর/আইএসএইচ