বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের চুক্তি সই
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ (বিএস-২) নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রসকসমসের সাবসিডিয়ারি গ্লাভকসমসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার বিকেলে এক আয়োজনে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও শাহজাহান মাহমুদ এবং গ্লাভকসমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দিমিত্রি লসকুতেভ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার পর যে কটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, তার মধ্যে গ্লাভকসমসের পাশাপাশি ছিল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্রেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন, ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস ও এয়ারবাস। তবে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গেই দেশের দ্বিতীয় এ স্যাটেলাইটের নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের চুক্তি সই হলো।
কবে নাগাদ এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হতে পারে তা জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, পুরো বিষয়টাই কারিগরি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সময় সব প্রস্তুতি থাকার পরও শেষ মুহূর্তে ঘোষিত সময় অনুযায়ী উৎক্ষেপণ করা যায়নি। এবারো ২০২৩ সালের মধ্যে উৎক্ষেপণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সাড়ে তিন বছরের মাথায় দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টিকে দেশের জন্য নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্য ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
বিএস-২ স্যাটেলাইটে থাকবে অপটিক্যাল ভিএইচআর-সার (সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার), যার মূল কাজ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমি ও সমুদ্র এলাকার ছবি তোলা। গ্লাভকসমস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিএস-২ তৈরি, উৎক্ষেপণ ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একমত হয়েছে। এ সমঝোতার মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০১৮ সালের ১২ মে বিএস-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে বিএস-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি নির্মাণ করে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। বিএস-১ এর নির্মাণ ও উৎক্ষেপণে ব্যয় হয়েছিল দুই হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
এআর/আরএইচ