সয়াবিন তেলের এই দাম কেউ দেখেনি আগে
সয়াবিন তেলের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম আট থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দোকানগুলোতে প্রতি লিটার রূপচাঁদা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা ও অন্যান্য কোম্পানির তেল ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৬ টাকায়। এর আগে এত বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়নি।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে এক লাফে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহেও যেখানে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় পেঁয়াজ পাওয়া যেতো আজ তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এছাড়া রসুন, আদা, হলুদ ও আটা-ময়দার দামও বেড়েছে। দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১১৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আদার দাম। বর্তমানে দেশি ও আমদানি করা আদা ৮০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়ে দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা করে।
আটা ও ময়দার দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩০ থেকে ৩২ টাকা ও প্যাকেট আটা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে খোলা ময়দা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে।
চাল, ডাল ও তেলের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। ভালোমানের চিকন মিনিকেট চাল ৬৩-৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম ও ২৮ মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। সর্বনিম্ন মোটা গুটি চাল প্রতিকেজি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজি। আর মোট ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে।
তবে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। আর শিম মিলছে কেজিপ্রতি ২০-৩৫ টাকায়। ফুলকপি প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা ও বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু গত সপ্তাহের মত প্রতি কেজি মিলছে ২০ টাকায়।
তবে কমেছে লাউয়ের দাম। গত সপ্তাহেও লাউয়ের পিস ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৩০ টাকা। মুলা প্রতিকেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকায়।
দেশি রুই মাছ (এক কেজি ওজনের) বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। মৃগেল ২০০ টাকা কেজি, বড় জাতের কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা কেজিতে। এর বাইরেও দেশি শিং মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকায়। এছাড়া দেশি কই ৪৪০ টাকা ও টেংরা ৪১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির দর কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বয়লার ১৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ টাকা। এছাড়া কক ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ টাকা কেজি দরে।
এসএইচআর/ওএফ