৮০ ভাগ ই-কমার্স পরিচালনায় নারী উদ্যোক্তারা
দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। ফলে নারীরা আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে আয়োজিত ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতার হাতে সম্মাননা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যদি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না পারি তাহলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বে। বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরসহ সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বৈষম্যহীন ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
ঢাকা বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মর্জিনা আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঢাকার ধামরাই উপজেলার মুক্তা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মোছা. আলেয়া বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকার পল্লবীর রোকছানা পারভীন দীপু।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত দুজন জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা।
টিআই/ওএফ