জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবাধিকার সেল গঠনের সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বাংলাদেশের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পর জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোন করেছিলেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি এ ইস্যুতে প্রকৃত তথ্য জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরও চিঠি দিয়েছেন তিনি। আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ রক্ষা করছি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবাধিকার সেল গঠনের চিন্তা করছি। যাতে এ বিষয়গুলো আমরা আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারি।
সচিব বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রকৃত ক্ষেত্রে ঘটনা তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে সকলকে প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করতে বলেছি। যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাদেরও জানাচ্ছি। মানবাধিকার ইস্যুতে আমাদের যেসব প্রাপ্তি আছে সেগুলোও তাদের জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করতে হলে সেটাও কর।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর আগে অবশ্য গত বছরের নভেম্বরে র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তবে বিষয়টি নতুন বছরের শুরুতে গণমাধ্যমে আসে।
এছাড়া র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বরাবর চিঠিটি দিয়েছেন।
এনআই/এসকেডি