শিশুশ্রমমুক্ত হলো ৬ খাত
ট্যানারি, গ্লাস, সিরামিক, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত শিল্প ও পাদুকা এবং রেশম খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬টি শিল্প খাতের মালিক পক্ষের অ্যাসোসিয়েশন থেকে মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছে যে এসব খাতে কোনো শিশুশ্রম নেই। সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রত্যয়ন পাওয়ার পর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে এ ৬টি খাতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কারখানাগুলো পরিদর্শন করে। জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি ৬টি খাতের পরিদর্শন শেষ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৬টি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সবাই মিলে এ ৬টি খাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো বাংলাদেশ শিশুশ্রমমুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমবাজার থেকে শিশুদেরকে মুক্ত করে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এনে শিশুদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে শিশুশ্রম নিরসন নীতি প্রণয়ন করে এবং ২০১২ সালে শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। এছাড়া ২০১৩ সালে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, করোনা মহামারীকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ২৩টি খাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন তার মধ্যে প্রথম প্যাকেজ ঘোষণা করেন শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য। এ বছরের মধ্যেই আরও কয়েকটি খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করার জন্য কাজ করছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, সিরামিক সেক্টরের এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রপ্তানীমুখী চামড়াজাত শিল্প ও পাদুকা সেক্টরের নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইএলও প্রতিনিধি সৈয়দ মুনিরা সুলতানা এবং শ্রমিক লীগের র্কাযকরী সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
এইচএন/এমএইচএস