বঙ্গবন্ধু বাঙালির চিরন্তন প্রেরণার উৎস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, তিনি বাঙালির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। বাঙালির যত সফলতা ও অর্জন তার মূলে ছিলেন শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। তার কর্ম ও আদর্শ চিরকাল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’
আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং মুজিববর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী দুটি প্রোগ্রাম, ইন্টারনেট অব থিংস এবং আইসিটি ইন এডুকেশনের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ডাটা ম্যানেজমেন্ট এন্ড এনালাইটিক্স প্রোগ্রাম। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেকাট্রনিক্স, ন্যানো টেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজির মতো প্রোগ্রামগুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা হবে।’
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ‘বিশ্ব এখন জোর পায়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে। বাংলাদেশও রয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়নের কাজ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব প্রদান করবে।’
এএজে/এইচকে